শোওয়ার ঘরে ঝুলছিল দেহটা। নাম মণিকা বেরা ঘোড়াই। বয়স মাত্র ২২।বধূর বাবার বাড়ির অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজনই তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।বিয়ের মাত্র দেড় মাসের মধ্যে এই করুণ পরিণতি মানতে পারছেন না অনেকেই।
পশ্চিমমেদিনীপুরের দাসপুরের এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিকে পুলিশ ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। বাড়িটিকেও সিল করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই বাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়েছে।
শোওয়ার ঘর থেকে বেশ কয়েকটি কণ্ডোমের প্যাকেট সহ আরও কিছু সন্দেহজনক জিনিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।কিন্তু সবথেকে বড় প্রশ্ন কীসের পরিণতিতে মৃত্যু হল মণিকার? ঠিক কী বিষয়কে কেন্দ্র করে অশান্তি হত তাদের মধ্যে? সেই প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করছে পুলিশও।
তবে প্রতিবেশীদের দাবি, মণিকার বাড়ি দাসপুরের যদুপুরে। দীপঙ্কর বেরার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। সোনার কাজ করেন দীপঙ্কর। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে চাপা অশান্তি ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। দীপঙ্করও মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন। মণিকার উপর যে নানারকম চাপ তৈরি করা হচ্ছিল সেটা বোঝা যেত। কিন্তু চাপা স্বভাবের মণিকা অনেক কিছুই বাইরে প্রকাশ করতেন না।
এদিকে সোমবার সকালে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা ফোন করে জানান যে মণিকা অসুস্থ। এরপরই মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে।
Tags
West Bengal