রাশিয়া ১৯৭৬ সালে প্রথম চন্দ্র অভিযানের ৪৭ বছর পরে গতকাল ১১ই আগস্ট দ্বিতীয়বারের জন্য চাঁদে মহাকাশযান পাঠালো। এই মহাকাশযানটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। এই যানের প্রধান উদ্দেশ্য হবে চাঁদের মধ্যে জলের খোঁজ করা। রাশিয়ার এই চন্দ্র মিশনের আগেই ১৪ই জুলাই ভারত উৎক্ষেপণ করেছে চন্দ্রযান-৩।
সাথে সাথে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান অবতরণের আগাম অভিযান শুরু করে দিয়েছে আমেরিকা ও চীন।
রাশিয়ার লুনা-২৫ তে রয়েছে রোভার এবং ল্যান্ডার। ল্যান্ডারের ওজন ৮০০ কেজি। ১১ই আগস্ট শুক্রবার ভোর চারটায় লুনা -২৫ মিশন উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল এবং আশা করছেন যে ২৩ শে আগস্ট চন্দ্রপৃষ্ঠ স্পর্শ করবে। তবে এটি একুশে আগস্ট সেখানে পৌঁছাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন।
তবে, প্রশ্ন হল চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের প্রায় একমাস পরে লুনা-২৫ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে তাহলে কিভাবে লুনা-২৫ চন্দ্রযান-৩ আগেই চাঁদের মাটিতে স্পর্শ করবে ?
বিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের উত্তরে ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে রাশিয়ান রকেট অনেক বড় ভারতীয় রকেট অনেক ছোট যেহেতু শক্তিশালী এবং বড় রকেট গুলি বেশী ব্যয়বহুল তাই ভারত ছোট রকেটের মধ্যেই তাদের উদ্দেশ্য অর্জনের পরিকল্পনা করে রেখেছে ভারত। খুব কম খরচে এক বিশেষ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে চাঁদের মাটিতে স্পর্শ করতে চেয়েছে ভারত। যা পৃথিবী ও চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ ও কক্ষপথকে কাজে লাগানো হয়েছে তাই এটি অনেক সময় লাগছে। কিন্তু রাশিয়া সেখানে অনেক বড় এবং শক্তিশালী রকেট ব্যবহার করছে যা খুব কম সময়ে চাঁদের মাটিতে স্পর্শ করব।