মনসুকা, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম মহান নেতা, আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৭তম জন্মবার্ষিকী আজ। সারা দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই দিনটি পালিত হয়েছে।
মনসুকায়, মনসুকা ১গ্রাম পঞ্চায়েত, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে।
মনসুকায় ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মিলন পাত্র মহাশয় পতাকা উত্তোলন করেন । অঞ্চলের এক আধিকারিক অমিয় কর মহাশয় তাঁর ভাষণে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন ও কর্মের উপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, নেতাজি ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক, একজন বীরযোদ্ধা এবং একজন দূরদর্শী নেতা। তিনি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
নেতাজির জীবন ও কর্ম
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি ওড়িশা রাজ্যের কটকে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রিটিশ ভারতের একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, রাজনীতিবিদ এবং সামরিক নেতা ছিলেন। তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। নেতাজি কটকের প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন। এরপর তিনি ইংল্যান্ডে যান এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯২১ সালে, নেতাজি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন। তিনি কংগ্রেসের প্রগতিশীল গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন। ১৯৩৮ সালে, তিনি কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৩৯ সালে, নেতাজি কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নেন। এই দলের নাম হয় ফরওয়ার্ড ব্লক।
১৯৪৩ সালে, নেতাজি জার্মানিতে যান। তিনি জার্মান সরকারের কাছ থেকে সহায়তা পান এবং আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন। আজাদ হিন্দ ফৌজ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট, নেতাজি একটি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন বলে ধারণা করা হয়। তবে, তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।
নেতাজির অবদান
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ছিলেন একজন সাহসী ও দূরদর্শী নেতা। তিনি ভারতের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।
নেতাজির অবদানগুলি নিম্নরূপ: তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেন।তিনি ভারতীয়দের স্বাধীনতা সংগ্রামে অনুপ্রাণিত করেন।তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তুলে ধরেন।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আজও ভারতবাসীর কাছে একজন আদর্শ নেতা। তাঁর জীবন ও কর্ম আজও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।