নিউজ ডেস্ক, ঘাটাল, ২৬ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বইমেলা ২০২৪-এর প্রস্তুতি উপলক্ষে ঘাটালের মহকুমা শাসকের কার্যালয়ের মিটিং হলে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এবারের বইমেলার মূল থিম 'ভাষা দিয়ে সম্প্রীতি গড়ব', যা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে একত্রিত করার আহ্বান জানাচ্ছে। মেলা আগামী ১০ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘাটাল বিদ্যাসাগর স্কুলের ফুটবল ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় থাকছে ৮০টি স্টল, যেখানে নানা প্রকাশনা সংস্থার বই প্রদর্শিত হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস মহাশয়, এডিএম কেম্পা হুনাইয়া মহাশয়, ঘাটাল ব্লকের বিডিও অভীক বিশ্বাস মহাশয়, জেলা গ্রন্থাগারিক মহাশয়, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র মহাশয়, জেলা পরিষদ সদস্য শংকর দোলুই মহাশয়, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি বিকাশ কর মহাশয় সহ আরও অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকরা। বইমেলাকে সফল করার জন্য বৈঠকে একাধিক উপ-সমিতি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বইমেলার পরিকল্পনা ও রূপরেখা চূড়ান্ত করতে বৈঠকে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস মহাশয় বলেন, "বইমেলাকে সফল করার জন্য সকলের সহযোগিতা অপরিহার্য। এটি শুধু একটি বইমেলা নয়, ভাষার মাধ্যমে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।" এডিএম কেম্পা হুনাইয়া মহাশয় বলেন, "বইমেলা সবার সহযোগিতায় সফল হবে। ভাষার গুরুত্ব এবং সম্প্রীতির বার্তা সমাজে ছড়িয়ে দিতে এই মেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।"
বইমেলায় প্রতিদিন সাহিত্যিকদের বক্তৃতা, বই প্রকাশ, এবং শিশু-কিশোরদের জন্য বিশেষ কার্যক্রমের আয়োজন করা হবে। স্থানীয় শিল্পী ও সাহিত্যিকরা তাঁদের বই ও সৃষ্টিকর্ম প্রদর্শন করবেন। এছাড়া, বইমেলায় থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভার ব্যবস্থাও। জেলা গ্রন্থাগারিকের মতে, বইমেলা বইপ্রীতি জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি ভাষা, সংস্কৃতি এবং সম্প্রীতির মেলবন্ধন ঘটাবে।
বইমেলা কমিটি সকল স্থানীয় সংগঠন এবং বাসিন্দাদের কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মতে, বইমেলা ঘাটাল অঞ্চলের সংস্কৃতি ও শিক্ষার উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করবে। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র মহাশয় এবং জেলা পরিষদ সদস্য শংকর দোলুই মহাশয় মেলার সার্বিক সাফল্যের জন্য সকল স্তরের মানুষকে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানান।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বইমেলার প্রস্তুতির চূড়ান্ত কাজ শুরু হবে। জেলার মানুষ এই বইমেলাকে ঘিরে উৎসাহিত, এবং তাঁরা আশা করছেন যে এই মেলা ভাষার গৌরব এবং সম্প্রীতির নতুন বার্তা বহন করবে।