কুকুর দেখলেই মারা বাজে স্বভাব যাদের তারা অবশ্যই পড়ুন

কুকুর হল এমন একটি প্রাণী হল যে আদিম যুগে
যখন বনে থাকত তখন এই প্রাণীটি প্রথম পোষ মানে এবং মানুষের বিশ্বস্ত হয়ে ওঠে ।

কুকুরকে অবশ্য সেই বিশ্বাস অর্জন করতে হয়েছে । আসলে কুকুরের স্বভাবটাই এমন তাকে প্রভু শত আঘাত করলেও সহ্য করেও প্রভুর বাড়ি পাহারা দেয় । কুকুর পরিবারের উচ্ছিষ্ট খেয়েই জীবন কাটিয়ে দেয় । আবার যে সব পথ কুকুর থাকে তারা পরিবেশের অনেক নোংরা খেয়ে পরিবেশ পরিষ্কার করে দেয়। দেখুন ছবিটা একটা কুকুর কত সুন্দর খেলা দেখাচ্ছে ।   কিন্তু একটা  সমস্যা আছে সেটা হল কুকুরের শরীরের এক প্রকার পরজীবী বাস করলে  সেই পরজীবীটির কারনে কুকুর পাগল হয়ে যায় । আর সেই কুকুর মানুষকে কামড়ে জখম করলে  মানুষের জলাতঙ্ক রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে ।   কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগ হয় এই কারনে মানুষ কুকুরকে দেখলেই মারতে যেত ।

জলাতঙ্ক কী
সারা পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ৫৫,০০০ মানুষে মারা যান জলাতঙ্ক রোগে। এদের মধ্যে অধিকাংশেরই বয়স ১৫ বছরের নীচে। আমাদের দেশে এই সংখ্যাটা প্রায় ২০,০০০। এর মধ্যে কুকুরের কামড়ে মারা যান ৯৫ শতাংশ। বাকি ৫ শতাংশ মারা যান অন্যান্য পশুর কামড়ে। জলাতঙ্কের প্রতিষেধক থাকা সত্ত্বেও কেন এত মৃত্যু? মানুষের অজ্ঞতা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঠিক সময়ে প্রতিষেধক না পাওয়াই এ মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
কুকুর কামড়ালে ভ্রান্তধারণাবশত মানুষ কেউ কেউ চিকিৎসকের পরিবর্তে ওঝা-গুনিন, কবিরাজ, হাতুড়েদের কাছে গিয়ে তুকতাক ও ঝাড়-ফুঁক করান। কিন্তু যে কুকুরটি কামড়েছে সে মানুষটি যদি জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়, তবে এত সব কিছুর ফল মৃত্যু। কারণ জলাতঙ্কের কোনও চিকিৎসা নেই। এক বার হয়ে গেলে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত মৃত্যু।বৈজ্ঞানিক প্রতিষেধকই একমাত্র প্রতিকার।


জানা যাক জলাতঙ্ক রোগটি কী ধরনের? কুকুরের কামড়ের সাথে এর কী সম্পর্ক? কখন ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজন নেই? এবং আনুষঙ্গিক কিছু ভ্রান্ত ধারণার সঠিক উত্তর। জলাতঙ্ক (হাইড্রোফোবিয়া বা রেবিস) একটি ভাইরাসঘটিত রোগ। র‌্যাবডো ভাইরাস এ রোগের কারণ। জলাতঙ্ক কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে। এর ফলে মৃত্যু হয়। সাধারণত কুকুর, বিড়াল, শেয়াল, নেকড়ে, বেজি ইত্যাদির কামড়ের মাধ্যমে রেবিস সংক্রমিত হয়ে থাকে। আমাদের এ অঞ্চলে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে রেবিস কুকুরের কামড়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে।

রেবিস ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুর (পাগলা কুকুর) কামড়ালে বা ক্ষতস্থানে চেটে দিলে সে ব্যক্তি রেবিসে আক্রান্ত হন। র‌্যাবডো ভাইরাস শরীরে ঢুকলে ১০ দিন থেকে এক বছর পরও রোগ লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। তবে সাধারণত ২০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যেই জলাতঙ্কের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

এখানে একটি কথা জেনে রাখা প্রয়োজন যে সুস্থ কুকুর বা প্রাণী কামড়ালে রেবিস হয় না।
কিন্তু এখন পথের কুকুর বাড়ি পাশ দিয়ে গেলেই বা রাস্তার পাশ দিয়ে গেলেও বহু মানুষ মারতে যান । ঠ্যাং ভেঙ্গে দেয় । মাথায় আঘাত করে । ধারাল কিছু যন্ত্র দিয়ে আঘাত করে । কুকুরের  আঘাত হয়ে ঠ্যাং ভেঙ্গে  খুঁড়িয়ে চললে   , আঘাত এর ফলে ঘা হয়ে পোকা হয়ে ওদের ভীষণ কষ্ট হয় । 

কুকুর  গুলিকে বিনা কারণে মেরে  তাদের  জীবনটাকে কষ্টে ভরিয়ে  দেবেন না । কুকুর পাগলা হয়ে গেলে মেরে ফেলা ভালো । কিন্তু  শুধু শুধু বিনা কারণে মেরে তাদের জীবনটাকে যেমন কষ্টে ভরিয়ে দিচ্ছেন তেমনি পরিবেশ এর  ক্ষতি করছেন ।

সূত্র : দি হিন্দু, স্বাস্থ্য তথ্য ও অন্যান্য ওয়েব সাইট

নবীনতর পূর্বতন
Mansuka khabar

বিজ্ঞাপন

Mansuka khabar