CAB, CAA, NRC নিয়ে যে নাটক বা তরজা চলছে পশ্চিমবঙ্গের তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গৃহ মন্ত্রী অমিত শাহ টুইট বার্তায় জানিয়েছেন যে কেবলমাত্র জন্মতারিখ এবং জন্মস্থান উল্লেখ করতে পারলেই তাদেরকে ভারতীয় নাগরিকত্ব তাও তার মধ্যে থাকবে। তবে প্রথম থেকেই গৃহ মন্ত্রী অমিত শাহ যে কথা বিল নিয়ে বারবার বলে এসেছেন যে ভারতীয় নাগরিকদের ওপর এ CAA কোন রকম খারাপ প্রভাব পড়বে না অর্থাৎ যারা ভারতীয় নাগরিক তাদের কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না বলে তিনি বারবার আশ্বাস দিয়েছিলেন কিন্তু তবুও কিছু বিক্ষোভকারী, বিরোধী বারবার মেনে না নিয়ে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন ভাঙচুর করেছেন পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের বিভিন্ন স্থানে। নাগরিকত্ব বিলে কোন স্থানের 19 71 সালের পূর্বের নথি দেখাচ্ছে হবে বলে কোথাও বলা হয়নি কিন্তু কিছু মানুষ, সাধারণ মানুষকে বারবার ভুল বুঝিয়েছেন যে 1971 সালে নথি দেখাতে হবে। এবার কিছু মানুষ যারা বারবার মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিক্ষোভ করে আগুন লাগিয়ে বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর করেছিলেন তারা হয়তো একথা বলবে যে আমরা বিক্ষোভ করার কারণেই ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। তাদের কাছে একটাই প্রশ্ন থাকছে যে তারা কি ভালো করে বিলটা পড়ে ছিল বা এই আইনটা ভালো করে জেনেছিলেন বারবার তারা বলছিলেন যে সংবিধান বিরোধী আইন। কোনমতেই আইনটাকে সঠিকভাবে মেনে নিতে পারেননি বা বোঝার চেষ্টা করেননি বা তারা এই আইন টাকে ভালো করে পড়েও দেখেনি। এই আইনটিকে কার্যকরী করার পূর্বেই তারা আন্দোলন করে বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর করেছেন। এই আইনের খারাপ প্রভাব কোন মুসলিমের উপর পড়েনি এবং তারা দেখাতে পারেনি যে এর খারাপ প্রভাব পড়েছে এখনো অব্দি এবং পরবর্তীকালে হয়ত তার খারাপ প্রভাব এই মুসলিমদের উপর পড়বে না অর্থাৎ যারা ভারতীয় মুসলিম তাদেরকে 1971 সালের নথি দেখাতে হবে না। সাধারণ জন্ম তারিখ এবং জন্মস্থানের সাধারণ কিছু দেখাতে পারলেই তারা ভারতীয় নাগরিকত্বের মধ্যেই থাকবেন কেবলমাত্র যারা বাংলাদেশ পাকিস্তান আফগানিস্তানের মুসলিম ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছেন তাদেরকে সহজে মানুষ এটা চিনে নিতে পারবেন। অনুপ্রবেশকারীরা কিছুদিন বসবাস করছে ভারতীয় নাগরিক এরূপ চিহ্নিত করতে পারলেই অনুপ্রবেশকারীদের ভারত থেকে তাদের নিজ দেশে পাঠানো হবে অর্থাৎ তাদেরকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়া হবে না। এটা যখন কার্যকারী হবে বা করা হচ্ছে তখন যারা বিরোধিতা করেছিলেন ভাঙচুর করেছিলেন তারা তারা আবার মানুষকে ভুল বোঝানোর জন্য এবার পাল্টি খেতে থাকবেন । হয়তো এ কথা হয়তো বলতে শোনা যাবে যে তারা এই বিরোধিতা ভাঙচুর করার জন্যই ভারত সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিন্তু আসলে কি তাই তারা কি একবারও কথা বলেছিল 1971 সালের আগে দেখাতে হবে তা তো নয় কিছু মানুষ ভোট ব্যাংকের জন্য মুসলিম সম্প্রদায় কে ভুল বুঝিয়ে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করেছে। ভারতে যখন এই নিয়ে গন্ডগোল বা ভাঙচুর চলছে তখন যারা ভারতবর্ষের নাগরিক নয় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী তারা কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছেন সেই সংখ্যাটা অনেক এবং হুহু করে মানুষ যেভাবে বাংলাদেশের ফিরছেন সেটা দেখলে আপনারা নিশ্চয়ই অবাক হবেন যে কত হাজার হাজার মানুষ এই বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ করে ছিল এবং এখনও অনেক করে আছে তা এই আইনের দ্বারা চিহ্নিত হবে এবং তাদেরকে ভারত থেকে বাংলাদেশে বা তাদের নিজ নিজ দেশে পাঠানো হবে।
Tags
Other