(সুবর্ণ জয়ন্তী ১৯৯৫ স্মরণিকা থেকে নেওয়া)
মনসুকা লক্ষ্মীনারায়ণ হাইস্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী — পঞ্চাশ বর্ষে কিছু স্মৃতিচারণ করার চেষ্টা । করলাম খেলাধুলার বিষয়ে । কিন্তু স্কুলের জন্মের পর ২৩ বৎসরের স্মৃতিচারণের জন্য সাহায্য নিতে হ ’ ল স্থানীয় শিক্ষক মহাশয়দের । স্কুল কলেজে পড়ার সময় থেকেই স্কুলের সঙ্গে পরিচিতি খেলার মাধ্যমে ।
এসেছি মনসুকা স্কুলের মাঠে ফুটবল খেলতে । তখন মাঠটি ছিল খুবই সুন্দর , নয়জন খেলার উপযুক্ত পূর্ব পশ্চিমে লম্বা । এখন মাঠের অনেকটাই ঝুমি নদীর গর্ভে বিলীন । আন্তঃস্কুল ফুটবল , এ্যাথলেটিক্স্ প্রতিযােগিতায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে স্কুলের নাম প্রথম তিনটি দলের মধ্যে সুনিশ্চিত করে রাখতেন তৎকালীন স্কুলের খেলাধুলায় দক্ষ , কৃতিছাত্ররা । যাঁরা ক্রীড়া জগতে স্কুলের নাম প্রতিষ্ঠিত করেছেন , স্কুলের গৌরব বৃদ্ধি করেছেন , তাদের অনেকেই আজ ইহলোক ত্যাগ করেছেন , অনেকেই এখনও খেলাধুলার আকর্ষণে মাঠে যান খেলা দেখতে , বর্তমান প্রজন্মকে উৎসাহ দিতে । তাঁদের সকলকে আমি স্কুলের পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধা জানাই ।
১৯৬৮ সালে শিক্ষক হিসাবে মনসুকা হাইস্কুলে প্রবেশ করলাম । সহকর্মীরা প্রায় সকলেই ক্রীড়ানুরাগী ও ফুটবল , ভলিবল ইত্যাদি ক্রীড়ায় বেশ দক্ষ । ছাত্র - শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে প্রীতপূর্ণ খেলায় সমানভাবে পাল্লা দেওয়া হত । স্বপ্ন ছিল স্কুলের ফুটবল দলকে মহকুমার সেরা দলে পরিণত করব । পারিনি — এটা আমার ব্যর্থতা , পূর্বে মেয়েদের খেলাধূলার বিশেষ প্রচলন ছিল না । মধ্যশিক্ষা পর্ষদ খেলাধুলাকে পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত করে বাধ্যতামূলক করার ফলে মেয়েদের খেলোয়াড়ি প্রতিভার ঘটল — বিকাশ , জাগরণ , ফুরণ ।
১৯৮২ সালে হারালাম আমার উৎসাহদাতা , স্কুলের উন্নভিকামনাকারী , জনপ্রিয় , ছাত্রদরদী প্রধানশিক্ষক বঙ্কিমবিহারী সামন্তকে , তার , আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি । শারীর শিক্ষার সহকর্মী হয়ে এলেন দক্ষ ক্রীড়াপরিচালক বিশ্বনাথ মণ্ডল । ইতিমধ্যে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা নিপুলভাবে বৃদ্ধি পেয়ে স্কুলটি মহীরুহে পরিণত হয়েছে । ছাত্রছাত্রীদের চাপ কিছুটা লাঘব হ’ল মণ্ডলের আগমনে । উভয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও বর্তমান প্রধান শিক্ষকের সহযােগিতায় ক্রীড়াক্ষেত্রে স্কুলের ছাত্রছাত্রদের তথা স্কুলের নাম ব্লক , মহকুমা , জেলায় ও রাজ্যে খােদিত করা হয়েছে । পূর্বে খেলাধূলা ফুটবল ও এ্যাথলেটিকসের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল ।
বর্তমানে কাবাডি , খাে - খাে , সুব্রত কাপ ফুটবল ইত্যাদি প্রতিযােগিতাগুলিতেও অংশগ্রহণ করে স্কুলের মৰ্যাদা ও গৌরব বৃদ্ধি পেয়েছে । পঞ্চাশবর্ষে সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য সাফল্য দেখিয়েছে ছাত্রীরা । জেলায় ইসেটিভ কাবাডি প্রতিযােগিতায় রানার্স আপ হয়েছে । এ্যাথলেটিকস্ প্রতিযােগিতায় ঘাটাল ব্লকে ছাত্ররা শীর্ষ স্থানে আছে । স্কুলের এই সাফল্যের মূলে আছে ছাত্রছাত্রী , শিক্ষক , প্রাক্তন ছাত্র অভিভাবক , স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি সকলের সহযােগিতা ।
স্কুলের নির্দিষ্ট সময়ের বাহিরে ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণও অনুশীলনে সাহায্য করেন প্রাক্তন ক্রীড়ানুরাগী ও দক্ষ ছাত্রছাত্রীরা , অভিভাবকরা স্কুলের গণ্ডীর বাহিরে তাদের ছেলে মেয়েদের পাঠাতে বাধা না দিয়ে তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য তাই আজ শুভবর্ষে আমাদের স্কুলের শপথ । হােক — আমরা সকলে ক্রীড়াক্ষেত্রে স্কুলের সুনাম অক্ষুন্ন রাখব । স্কুলকে আরও গৌরবের পথে । নিয়ে যাব , চেষ্টা করব উন্নতির শিখরে তুলতে ।
এসেছি মনসুকা স্কুলের মাঠে ফুটবল খেলতে । তখন মাঠটি ছিল খুবই সুন্দর , নয়জন খেলার উপযুক্ত পূর্ব পশ্চিমে লম্বা । এখন মাঠের অনেকটাই ঝুমি নদীর গর্ভে বিলীন । আন্তঃস্কুল ফুটবল , এ্যাথলেটিক্স্ প্রতিযােগিতায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে স্কুলের নাম প্রথম তিনটি দলের মধ্যে সুনিশ্চিত করে রাখতেন তৎকালীন স্কুলের খেলাধুলায় দক্ষ , কৃতিছাত্ররা । যাঁরা ক্রীড়া জগতে স্কুলের নাম প্রতিষ্ঠিত করেছেন , স্কুলের গৌরব বৃদ্ধি করেছেন , তাদের অনেকেই আজ ইহলোক ত্যাগ করেছেন , অনেকেই এখনও খেলাধুলার আকর্ষণে মাঠে যান খেলা দেখতে , বর্তমান প্রজন্মকে উৎসাহ দিতে । তাঁদের সকলকে আমি স্কুলের পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধা জানাই ।
স্কুলের নির্দিষ্ট সময়ের বাহিরে ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণও অনুশীলনে সাহায্য করেন প্রাক্তন ক্রীড়ানুরাগী ও দক্ষ ছাত্রছাত্রীরা , অভিভাবকরা স্কুলের গণ্ডীর বাহিরে তাদের ছেলে মেয়েদের পাঠাতে বাধা না দিয়ে তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য তাই আজ শুভবর্ষে আমাদের স্কুলের শপথ । হােক — আমরা সকলে ক্রীড়াক্ষেত্রে স্কুলের সুনাম অক্ষুন্ন রাখব । স্কুলকে আরও গৌরবের পথে । নিয়ে যাব , চেষ্টা করব উন্নতির শিখরে তুলতে ।
Tags
Sports