পিংলার প্রণতি নায়েক দ্বিতীয় ভারতীয় এবং প্রথম পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হিসেবে অলিম্পিকসে জিমন্যাস্টিক এ অংশ নিতে চলেছেন। ছাব্বিশ বছরের প্রণতির জীবনের লড়াই মোটেও সহজ ছিল না , নিম্নবিত্ত ঘরের মেয়ে মাত্র নয় বছর বয়সে জিমন্যাস্টিককে ভালোবেসে ফেলেছিলো। কিন্তু পিংলায় সে সুযোগ কোথায়, তাই বাধ্য হয়ে ওই বয়সেই চলে আসতে হয় কলকাতায়।
কলকাতায় প্রণতির হাত ধরেন কোচ মিনারা বেগম। শুধু মাত্র কোচিং নয়, মিনারা আসল অর্থেই হয়ে ওঠেন প্রণতির অভিভাবক। খাওয়া , পড়া , পকেট মানি সব কিছুর দায়িত্ব নিয়ে নেন মিনারা। কঠোর পরিশ্রমের ফল মিলতে দেরি হয় না , প্রণতি জিমন্যাস্টিক এ ভালো ফলের জন্য সুযোগ পায় রেলের চাকরিতে। কিন্তু পরিচিতি আসে 2019 এ, মঙ্গোলিয়াতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জেতার পরে। ক্রমে সেই পারফরম্যান্স জায়গা করে দেয় টোকিও 2020 অলিম্পিক্সেও।
আর কয়েকদিন পরে প্রণতি যখন সমস্ত অভাব, বাধা তুচ্ছ করে লড়াই এর ময়দানে নামবে তখন নিজের বাড়িতে আশায় বুক বেঁধে বসে থাকবে আরও এক যোদ্ধা, মিনারা বেগম। প্রণতির জন্য জাতীয় সংগীত বাজবে কিনা জানিনা, কিন্তু এই দীর্ঘ লড়াই এর জন্য সমস্ত বাঙালি, ভারতবাসী তাকে মনে রাখলেই সার্থক হবে পথ চলা, আর সেই সাথে বেঁচে থাকুক মিনারা বেগম এর মতো মানুষেরা। একজন মিনারাই পারে প্রণতির জন্ম দিতে।