শ্যামল রং, মনসুকা, ১৬ অক্টোবর: গতকাল ঘাটাল ব্লকের মনসুকা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বনহরিসিংপুর এলাকায় প্লাবিত মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হলো ঘাটালের মহকুমা শাসক (এসডিও) সুমন বিশ্বাস মহাশয়ের উদ্যোগে। প্রায় ৩০০ জন মানুষের হাতে নতুন জামা-কাপড় ও চাল তুলে দেওয়া হয়, যা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাসের সৃষ্টি করেছে।
বন্যার কারণে প্রত্যন্ত এই এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। পুজোর আগমুহূর্তে এই কঠিন পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে মহকুমা প্রশাসনও সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এসডিও সুমন বিশ্বাস মহাশয় এই কর্মসূচির প্রসঙ্গে বলেন, "এই এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে প্লাবিত ছিল। এখন জল কমলেও মানুষজনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। পুজোর এই সময়ে আমরা চেষ্টা করছি যাতে দুস্থ মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ও আনন্দ আনা যায়।"ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি বিকাশ কর মহাশয়, যিনি মহকুমা শাসকের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, "এসডিও মহাশয়ের উদ্যোগে আমরা দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি। বন্যা বিধ্বস্ত এই মানুষদের সাহায্য করতে পারা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।"
ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামলী সর্দার মহাশয়া ও এই ত্রাণ বিতরণে অংশগ্রহণ করেন এবং নিজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, "মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে ত্রাণ দিতে পেরে আমরা খুশি। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো মানুষের পাশে দাঁড়ানো, এবং সেই কাজ করতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ।"
এই উদ্যোগে প্রায় ৩০০ জন মানুষের হাতে নতুন জামা-কাপড় দেওয়া হয়, যার মধ্যে মহিলাদের শাড়ি, পুরুষদের ধুতি ও জামা, এবং ছোটদের জন্য বিভিন্ন ধরনের পোশাক ছিল। এছাড়া, চাল বিতরণ করা হয় যাতে তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের সংকট মোকাবিলা করতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, বন্যার কারণে তাদের জীবিকা ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ত্রাণের এই সহায়তা তাদের জীবনে নতুন আশার আলো নিয়ে এসেছে। একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "বন্যার কারণে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে, কিন্তু এই নতুন জামাকাপড় এবং চাল পেয়ে আমরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি।"
লক্ষ্মী পুজোর প্রাক্কালে মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে এমন উদ্যোগ শুধু ত্রাণ দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং এই অঞ্চলকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়াসেও একটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।