১. যেকোনও রকমের দানাশস্য, যেমন- ডাল, রাজমা, ছোলা ডায়েটে রাখা দরকার। এগুলো সবকটাই লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ফুড। দেখা গিয়েছে যে কেউ যদি এক কাপ দানাশস্য রোজ খেতে পারেন, তাহলে ব্লাড সুগার যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকে, তেমনই HbA1c-এর পরিমাণ রক্তে কমে যায় অন্তত অর্ধেক পরিমাণে।
২. আপেলও একটি লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ফুড। একই সঙ্গে তা ফাইবারে পরিপূর্ণ, আবার ভিটামিন সি ফ্যাট-ফ্রি! ফলে রোজ একটা করে আপেল খেতে পারলে ব্লাড সুগারের সমস্যা কমে যায়।
৩. আমন্ডে আছে ম্যাগনেসিয়াম, মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন আর ফাইবার। ফলে রোজ একটু করে আমন্ড খেতে পারলে তা শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪. পালং শাক, এই শাকও ম্যাগনেসিয়াম আর ফাইবারে পরিপূর্ণ, সুতরাং তা নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগতে হবে না।
৫. শিয়া সিড, এতে আছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার। ফলে তা ব্লাড সুগার যেমন নিয়ন্ত্রণে রাখে, তেমনই শীর থেকে বাড়তি মেদও দ্রুত ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।
৬. কালোজাম, এই ফল ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসে সমৃদ্ধ; সুতরাং তা নিয়ম করে রোজ খেলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৭. ওটমিল, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে ব্রেকফাস্টে ওটমিল রাখতে পারলে ভালো হয়। আপেলের মতোই এটিও লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ফুড, ফলে ডায়াবেটিসে তা শরীরকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৮. হলুদ, রান্নায় হলুদের ব্যবহার জরুরি, বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে। হলুদে আছে কারকুমিন যা ব্লাড সুগারের সঙ্গে লড়াই করে শরীরকে আরোগ্যের পথে নিয়ে যায়।
৯. ক্যামোমাইল টি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখতে রোজ যদি এক কাপ রে এই চা পান করা যায়, তাহলে সুফল মেলে। পাশাপাশি এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস এবং অ্যান্টি-ক্যানসার উপাদান সামগ্রিক ভাবে আমাদের সুস্থ রাখে।