দুটি কবিতা "ও চাঁদ", "তোমার সন্ধানে"


ও চাঁদ 
চাঁদ ও তুমি ছড়াও তোমার স্নিগ্ধ জোছনা।
 আলোয় ভরাও আকাশের সারা সীমানা॥
 মোহময়ী হয় রাত তোমার পরশে।
 আমিও যাই হারিয়ে অজানা আবেশে ॥
আমার মামা, বাবার মামা, সবার মামা তুমি।
তোমা হতে কতক প্রশ্নের উত্তর চাই আমি৷৷
তোমায় ডাকে সবাই, ললাটে টিপ দিবার তরে,
তবু কেন নীরব থাকো, সবারে অবহেলা করে ?
রূপোর থালার মতন সাজে আসো পূর্ণিমায়,
কোথা যাও বল তুমি আঁধার অমাবস্যায়?
 সূর্যের থেকে আলো নিয়ে তুমি নির্মল হও;
 তবু কেন বল তুমি কলঙ্কের বোঝা বও ?
 মামা থেকে দাদু কবে ; হবে বলো তুমি ,
 চরকা কাটা বুড়োর , কত বয়স হল শুনি ? 
ইচ্ছে করে তোমার সাথে ঘুরে ফিরে বেড়াই,
স্বপন আমার হবে পূরণ; সঙ্গে নেবে আমায় ?
তোমায় নিয়ে কবিতা লেখে কত শত কবি, 
পারি নাকি তুলতে তোমার একটু প্রতিচ্ছবি ?



তোমার সন্ধানে

তোমার সন্ধানে প্রথম গেলাম লক্ষণপুর
স্কুল ছাড়িয়ে বেশ কিছুটা দূর৷৷ 
কিন্তু তোমার দেখা নাই।
আমার ভাবনার অন্ত নাই॥ 
আমার কণ্ঠে আসে নীরব কান্নার সুর।।
এরপর গেলাম ইড়পালায়
বাসস্ট্যান্ড থেকে শিবতলায়,
কিন্তু তোমার দেখা নাই 
এখন কি করি উপায় ?
তোমার সন্ধানে নদী পেরিয়ে গেলাম ওপাড়ায় ৷৷
তোমার সন্ধানে জয়বাগে
দেখা পাবো মনে আশা জাগে
কিন্তু তোমার দেখা নাই
আমি দিশেহারা তোমার চিন্তায়।
তুমি ছাড়া চারিদিক অন্ধকার লাগে॥
তোমার সন্ধানে এবার খাসবাড়
তোমাকে যে করেছি সর্বস্ব উজাড়
তবু তোমার দেখা নাই,
আর খোঁজার জায়গাও নাই।
তুমি ছাড়া আমার যে নাহি পারাপার।।
অবশেষে তোমার খোঁজ ,মোর হৃদয় মাঝে,
বুঝলাম, তুমি আছো সেথা আপন সাজে ।
এখন , তোমার দেখা পাই,
আমার আর কোনো চিন্তা নাই।
তোমার সাথে মিলন এখন, সকাল, দুপুর, সাঁঝে।।

কবি পরিচিতি


তুষার সাঁতরার জন্ম ১৯৮৯ সালের ২৬ শে ডিসেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার অন্তর্গত লক্ষ্মণপুর গ্রামে । পিতা শ্রী নীলমাধব সাঁতরা এবং মাতা নমিতা দেবীর প্রথম সন্তান তুষার । পরিবারের বাকী সদস্য বলতে ভাই তুহিন এবং সহধর্মিনী পায়েল । প্রাথমিক পাঠ শেষ করেন গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে । উচ্চ - মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেন পাশের গ্রামের ইড়পালা হাইস্কুলে । হুগলী জেলার আরামবাগের নেতাজী মহাবিদ্যালয় থেকে গণিত বিষয়ে অনার্স শেষ করে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এস.সি পাশ করেন ২০১২ সালে । ২০১৩ সালে হুগলী জেলার গুড়াপ থেকে বি.এড করেন । পারিবারিক আর্থিক সমস্যার কারণে চাকরীর ভ্যাকেন্সীতে শিক্ষকতা করেন । এরপর ২০১৭ সালে ১৪ ই ফেব্রুয়ারী বর্ধমান জেলার প্রস্তুতির পাশাপাশি তিনটি স্কুলে ডেপুটেশনটিকেই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন । দু বছর শিক্ষকতা মাধবডিহি থানার অন্তর্গত নসীপুর প্রাথমিক করার পর এস . এস . সি পাশ করে ২০১৯ সালের ২৪ শে জানুয়ারী পাশের গ্রামে খাসবাড় হাইস্কুলে গণিতের সহশিক্ষক পদে যুক্ত হয়ে বর্তমানে কর্মরত আছেন ।

Shyamal Kumar Rong

আমি মনসুকা খবরের সাংবাদিক। খবর, ভিডিও, তথ্য, গল্প পাঠাতে যোগাযোগ করুন। ফোন/হোয়াটসঅ্যাপ ৯৭৭৫৭৩২৫২৫.

নবীনতর পূর্বতন

বিজ্ঞাপন

Mansuka khabar

বিজ্ঞাপন

Mansuka khabar
Mansuka khabar