শ্যামল রং, মনসুকা:- মনসুকা লক্ষ্মীনারায়ণ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২০ সালে উদযাপিত হয়েছিল প্লাটিনাম জয়ন্তী। কিন্তু মহামারী করোনার প্রভাবে প্লাটিনাম জয়ন্তী অনুষ্ঠান আরম্ভ হলেও তার সমাপ্তি অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পারেনি প্লাটিনাম জুবিলী উদযাপন কমিটি। করোনার প্রভাব কেটে যাওয়ার পর স্কুল গুলি খুলে গিয়েছে।
যথারীতি স্কুল চালু হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং প্লাটিনা জুবিলি উদযাপন কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করার। আগামী ২০ ও ২১ শে মার্চ (রবি ও সোমবার), ২০২২ বিদ্যালয়ের প্লাটিনাম জুবিলী উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। সেই লক্ষ্যে মনসুকা লক্ষ্মীনারায়ণ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের দ্বারা নৃত্য অনুষ্ঠান রাখা হয়েছে। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন এর জন্য যে সকল ছাত্র ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেছে তারা সকলেই এই স্কুলে পাঠরত।
কিন্তু তাঁরা কেউ নৃত্য অন্যভাবে না শেখায় অধিক সময় ধরে তাদের নিয়ে রিয়াশাল করান নৃত্যের শিক্ষক। তবে সচেতন অভিভাবকরা এই বিষয়টি মেনে না নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। শিক্ষা সচেতন সমাজ সচেতন অভিভাবক সাগর মন্ডল মহাশয় প্রতিবাদী কণ্ঠে গর্জে উঠেছেন। তিনি একটি অডিও রেকর্ড এর মধ্যে দিয়ে মনসুকা লক্ষ্মীনারায়ণ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন কমিটি ও শিক্ষা অনুরাগী এবং প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্য বেশ কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন এবং সেই প্রশ্নের সংযত যুক্তিপূর্ণ যথার্থ কারন ও তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন...
করোনার জন্য দুই বছর ক্লাস হয়নি তারা সব কিছুই ভুলে গেছে তাদের এই সময় যথেষ্ট বেশি পরিমাণে ক্লাস করা দরকার কিন্তু তা না হয়ে ছাত্র ছাত্রীরা প্রথম ক্লাস থেকে শেষ পর্যন্ত নৃত্যের রিয়াশাল করছে , এটা কেন হবে? নাচগান খেলাধুলা প্রয়োজন কিন্তু তাই বলে প্রথম থেকে শেষ পিরিয়ড। তাহলে ছাত্র ছাত্রীরা পড়বে কখন? ছাত্র ছাত্রীদের নৃত্যের সময়টা যদি পঞ্চম বা যষ্ঠ পিরিয়ড এর পর করা যেত না? ছাত্র ছাত্রীদের বাদ দিয়ে অন্য কোন ডান্স ট্রুপ ভাড়া করা যেত না? আসুন শুনে নিই সাগর মন্ডল মহাশয় ঠিক কি বলেছেন...
🎧👆অডিওটি শুনার জন্য উপরের অডিও বক্সের তিনকনা চিহ্নটি ক্লিক করুন।