ইতিহাস প্রথম অর্জনকারীদের নাম মনে রাখে, যেমন রাশিয়া প্রথম দেশ যারা চাঁদে তার যান পাঠায়, কিন্তু আমেরিকা চাঁদে পা রাখার প্রথম দেশ হয়ে ওঠে। এখন দেখতে হবে ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশ হতে পারে কি না, লুনা-25 বিধ্বস্ত হওয়ার কারণে এই সুযোগ এখনও ভারতের কাছে রয়ে গেছে।
যদি চন্দ্রযান-৩ দক্ষিণ মেরুতে হিমায়িত মাটিতে জলের চিহ্ন সনাক্ত করে তবে এটি ভবিষ্যতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আরও কার্যকর হবে। চাঁদে জল শনাক্ত হলে তা থেকে অক্সিজেন তৈরির বিকল্পও থাকবে, অর্থাৎ মানুষের জীবনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা যাবে।
শুধু তাই নয়, চাঁদে মহাকাশ পরীক্ষা এবং অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যও অক্সিজেনকে চালক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই সমস্ত কারণে, ইসরো প্রথম থেকেই চাঁদের দক্ষিণ মেরু সনাক্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। চন্দ্রযান-১ এবং চন্দ্রযান-২-তেও একই ধরনের প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। এখন চন্দ্রযান-৩ নিয়ে ইতিহাস গড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।