চীন কেন পাকিস্তানকে ব্রিকসের সদস্য করতে চায়?

পাকিস্তান যেকোনো উপায়ে ব্রিকসের সদস্য হতে চায় এবং চীন এই 'চিরসবুজ' বন্ধুর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। পরের বার যখন ব্রাজিলে ব্রিকস সম্মেলন হবে, সেখানে পাকিস্তানকে সদস্য করার প্রস্তাব থাকবে এবং সম্ভবত রাশিয়ায় অনুষ্ঠেয় বৈঠকে তা অনুমোদন করা হতে পারে।


ইয়েলেরি বলেছেন, "পাকিস্তানকে ব্রিকসের সদস্য করার জন্য চীন গ্লোবাল সাউথের যুক্তি দিচ্ছে। এতে বলা হয়েছে গ্লোবাল সাউথ এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সদস্য করা উচিত।"

"কিন্তু পাকিস্তান যে ধরনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে আছে, তাতে তাকে সদস্য করার কোনো মানে নেই। এতে ব্রিকসের উদ্দেশ্যই দুর্বল হয়ে পড়বে।" 

এখন চীন পাকিস্তানকে আনার জন্য ইসলামিক সংস্কৃতির আহ্বান জানাচ্ছেন। আসলে, সাংস্কৃতিক শক্তির নামে চীনের তেমন কিছুই অবশিষ্ট নেই। কারণ চীনা সমাজে যে কঠোরতা করা হচ্ছে তা তার সাংস্কৃতিক শিকড়কে শুষে নিয়েছে। চীন ব্রিকসের মতো সম্মেলনে সফট ফোরামের সদস্য হিসেবে বিপুল সংখ্যক পাকিস্তানিদের নিয়ে আসছে যাতে পাকিস্তান কোনোভাবে ব্রিকসের সদস্যপদ পেতে পারে।"

"চীন এই ধরনের নরম ফোরামে লোকেদের পূরণ করছে। এবং এটা দুর্ভাগ্যজনক যে এই ধরনের ফোরামে ভারতের প্রতিনিধিত্ব কমে যাচ্ছে। ভারতকে BRICS-এ তার অংশীদারিত্ব বাড়াতে হবে।"

 "ব্রিকসের প্রভাব বাড়ছে। তাই ভারতকে এর ওপর আরও জোর দিতে হবে। এটিই একমাত্র ফোরাম, যেটি আসলে গ্লোবাল সাউথ অর্থাৎ ভারত, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ফোরাম করে। এই তিনটি দেশে একটি সাধারণ বেস। এগুলো জোট নিরপেক্ষ দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত ছিল।"

"তাদেরকে পারমাণবিক চুক্তির বাইরে রাখা হয়েছিল। এই দেশগুলোকে জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্যপদ সম্প্রসারণের বাইরেও রাখা হয়েছিল। এগোতে গিয়ে যদি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলা হয়, তাহলে পাকিস্তান এর থেকে পরোক্ষ সুবিধা পেতে পারেন।

Shyamal Kumar Rong

আমি মনসুকা খবরের এডিটর। মনসুকা খবরে আপনি যেকোনো খবর, ভিডিও, তথ্য বা গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আপনার তথ্য আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ: ৯৭৭৫৭৩২৫২৫

নবীনতর পূর্বতন
Mansuka khabar

বিজ্ঞাপন

Mansuka khabar