দেরাদুন, 17 ফেব্রুয়ারী, 2024: "দেখার মতো অনেক সুন্দর জিনিস আছে, করার মতো অনেক কিছু আছে, অনেক মজা করার আছে, এবং অনেক ক্ষতিকারক এবং আকর্ষণীয় লোকের সাথে দেখা করার মতো... কীভাবে শুকিয়ে যেতে পারে?" এই প্রশ্নটি, রাস্কিন বন্ডের লেখনীর মূলমন্ত্রের মতো, ছয় দশক ধরে পাঠকদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।
ভারতের সেরা এবং সর্বোত্তম লেখকদের একজন, বন্ড 'দ্য রুম অন দ্য রুফ' - তার পুরস্কার বিজয়ী প্রথম উপন্যাস লেখার পর থেকেই কাগজে-কলমে নিরলস।
দেরাদুন-এর অনাথ, বন্ডের লেখায় উদ্ভট ও কমনীয় চরিত্রের সমাহার, যারা জনপ্রিয়তার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো গাড়ওয়ালের পাহাড়, উপত্যকা ও নদীকে জীবন্ত করে তোলা, এবং বইয়ের পর বইয়ে ছোট্ট, আটকে থাকা জায়গাগুলির শান্ত জাদুকে ফুটিয়ে তোলা।
বন্ডের ফিকশন ও নন-ফিকশন, সকলের কাছেই জনপ্রিয়। 'দ্য রুম অন দ্য রুফ'-এর রাস্টি থেকে শুরু করে 'মাস্টারজি'-তে এক তরুণ হিন্দি শিক্ষক, বন্ডের সৃষ্ট চরিত্রগুলি পাঠকদের মনে চিরকালের জন্য গেঁথে থাকে।
'দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া'-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বন্ডের লেখার প্রভাব সম্পর্কে বলা হয়েছে: "বন্ডের লেখা শুধুমাত্র গল্প বলার চেয়েও অনেক বেশি। তারা আমাদের প্রকৃতির সাথে সংযোগ স্থাপন করতে, সহানুভূতি অনুভব করতে এবং জীবনের সরল আনন্দগুলি উপভোগ করতে শেখান।"
'দ্য হিন্দু'-র এক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে: "বন্ডের লেখা কালজয়ী। তারা আজকের পাঠকদের কাছে ততটাই প্রাসঙ্গিক যতটা ছিল তাদের প্রথম প্রকাশের সময়।"
৮৯বছর বয়সেও, বন্ড লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন।তার সাম্প্রতিক বই 'দ্য ব্লু উম্ব্রেলা' সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে। রাস্কিন বন্ড - একজন লেখক যিনি আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করেছেন, আমাদের কল্পনাশক্তিকে জাগ্রত করেছেন এবং আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করেছেন।
তার লেখা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে জীবনে দেখার, করার এবং উপভোগ করার জন্য অনেক কিছু আছে। তিনি সত্যিই একজন জাতীয় সম্পদ।
এই প্রতিবেদনে বন্ডের জীবন ও কর্মজীবনের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
রাস্কিন বন্ডের লেখার প্রভাব:
রাস্কিন বন্ডের লেখা কেবল মনোরঞ্জক গল্প বলার চেয়ে অনেক বেশি।
তার লেখার কিছু উল্লেখযোগ্য প্রভাব :
প্রকৃতির সাথে সংযোগ স্থাপন: বন্ডের লেখা পাঠকদের প্রকৃতির সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত করে। গাড়ওয়ালের পাহাড়, উপত্যকা ও নদীর বর্ণনা পাঠকদের মনে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তোলে।
সহানুভূতির বোধ জাগরণ: বন্ডের চরিত্রগুলির প্রতি সহানুভূতি পাঠকদের মনে মানবিকতা ও সহানুভূতির বোধ জাগিয়ে তোলে।
জীবনের সরল আনন্দ উপভোগ: বন্ডের লেখা পাঠকদের জীবনের সরল আনন্দগুলি উপভোগ করতে শেখান। ছোট ছোট ঘটনায় আনন্দ খুঁজে পাওয়ার শিক্ষা পাঠকদের মনে ইতিবাচকতা দান করে।
কল্পনাশক্তির বিকাশ: বন্ডের লেখা পাঠকদের কল্পনাশক্তিকে সমৃদ্ধ করে। রহস্য, রোমাঞ্চ, এবং অ্যাডভেঞ্চারে ভরা গল্পগুলি পাঠকদের মনে নতুন নতুন ধারণার জন্ম দেয়।
নৈতিক শিক্ষা: বন্ডের লেখা নীতিবোধ ও নৈতিকতার শিক্ষা দেয়। সৎ, সাহসী, এবং ন্যায়পরায়ণ চরিত্রগুলি পাঠকদের অনুপ্রাণিত করে।
ভাষার সাবলীল ব্যবহার: বন্ডের লেখার ভাষা সহজ, সাবলীল এবং আকর্ষণীয়। সরল বাংলা ভাষার ব্যবহারে তার লেখা সকলের কাছে সহজলভ্য।
সর্বজনীন আবেদন: বন্ডের লেখা সকল বয়সের পাঠকের কাছে আবেদন করে। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক, সকলেই তার লেখার স্বাদ গ্রহণ করতে পারে।
কালজয়ী সৃষ্টি: বন্ডের লেখা কালজয়ী। তার লেখা আজকের পাঠকদের কাছে ততটাই প্রাসঙ্গিক যতটা ছিল তাদের প্রথম প্রকাশের সময়।
রাস্কিন বন্ড একজন অনন্য লেখক যিনি আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করেছেন, আমাদের কল্পনাশক্তিকে জাগিয়েছেন এবং আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করেছেন। তার লেখা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে জীবনে দেখার, করার এবং উপভোগ করার জন্য অনেক কিছু আছে। তিনি সত্যিই একজন জাতীয় সম্পদ।
[ Mansuka khabar , মনসুকা খবর ]