ঘাটাল, ১৩ মে ২০২৪: ঐতিহ্যবাহী বাঁশ-বেতের হাতের কাজের সামগ্রী আজকাল প্লাস্টিকের বিকল্পের কাছে হার মানছে। ঘাটালের দীর্ঘগ্রামের চড়কমেলায় এ বছরও একই চিত্র দেখা গেছে।
চড়কমেলায় প্রতি বছর বসে বিক্রেতারা বিভিন্ন ধরণের বাঁশ-বেতের তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করেন। এবারও তেমনি। কিন্তু আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার বিক্রি অনেক কম।
বিক্রেতারা বলছেন, আগে মানুষ ঘরের কাজের জন্য বিভিন্ন ধরণের বাঁশ-বেতের তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহার করতেন। কিন্তু এখন তারা প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করেন। কারণ প্লাস্টিকের জিনিসপত্র তুলনামূলকভাবে সস্তা ও টেকসই বলে মনে করা হয়।
তবে বিক্রেতারা দাবি করেন, বাঁশ-বেতের তৈরি জিনিসপত্র পরিবেশের জন্য অনেক ভালো। প্লাস্টিকের জিনিসপত্র পরিবেশ দূষণ করে।একজন বিক্রেতা বলেন, "আগে আমরা প্রতিদিন অনেক জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারতাম। কিন্তু এখন বিক্রি অনেক কমে গেছে। মানুষ এখন প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করেন।"
কিন্তু প্লাস্টিকের জিনিসপত্র পরিবেশ দূষণ করে। তাই মানুষের উচিত বাঁশ-বেতের তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহার করা।"
তবে কিছু ক্রেতা মনে করেন, বাঁশ-বেতের তৈরি জিনিসপত্র তুলনামূলকভাবে বেশি দামি। তাই তারা প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করেন।
একজন ক্রেতা বলেন, "বাঁশ-বেতের তৈরি জিনিসপত্র অনেক ভালো। কিন্তু এগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি দামি। তবুও আমি বাঁশ বেতের জিনিসপত্র ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করি।
বাঁশ-বেতের হাতের কাজের সামগ্রীগুলি কেবলমাত্র ঘরের কাজের সহায়ক জিনিসপত্রই নয়, এগুলি বাংলার ঐতিহ্যেরও বহিঃপ্রকাশ। প্রতিটি জিনিসপত্রের নির্মাণে শিল্পীদের দক্ষতা ও নিষ্ঠার ছাপ থাকে। এই হাতের কাজের মধ্যে দিয়ে বাংলার সংস্কৃতির একটা ঝলক দেখা যায় দীর্ঘগ্রাম চড়কমেলায়।