করনো পরিস্থিতিতে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের সাহায্যার্থে অজবনগর-১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে এক মহতী রক্তদান শিবির করলেন । উপস্থিত ছিলেন শংকর দোলাই মহাশয়।
থ্যালাসেমিয়া কি?
থ্যালাসেমিয়া একপ্রকারের অটোজোমবাহিত প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত রােগ, যে রােগে অস্বাভাবিক বা ত্রুটিপূর্ণ হিমােগ্লোবিন উৎপন্ন হয়। অস্বাভাবিক হিমােগ্লোবিন সঠিক মাত্রায় অক্সিজেন বহন করতে পারে না এবং লােহিত , রক্তকণিকা বিদীর্ণ হয়ে যায়। a- থ্যালাসেমিয়ার জিন 16 নং ক্রোমােজোমে এবং 9 - থ্যালাসেমিয়ার জিন 11 নং ক্রোমােজোমে অবস্থান করে । থ্যালাসেমিয়া রােগটি কিছু হারিয়ে যাওয়া জিন থেকে প্রকাশ পায় । থ্যালাসেমিয়া রােগাক্রান্ত ব্যক্তির হিমােগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায় । RBC- র পরিমাণ হ্রাস পায় এবং অক্সিজেন পরিবহণ হ্রাস পায়। এর ফলে রােগীর মাইক্রোসাইটিক অ্যানিমিয়া ( microcytic anaemia ) হতে দেখা যায় । তাই বার বার রক্ত দিতে হয়।
হিমােগ্লোবিন ও লােহিতকণিকার ধংসের জন্য রক্তে লােহা সঞ্চিত হতে থাকে । এছাড়া রােগীকে বারবার রক্ত দেওয়ার কারণেও লােহ সঞ্চিত হতে থাকে । এর ফলস্বরূপ হৃৎপিণ্ড , যকৃৎ , অন্তঃক্ষরা ত ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।
থ্যালাসেমিয়া প্রতিরােধে জেনেটিক কাউন্সেলিং - এর ভূমিকা কি অর্থাৎ কি করা দরকার।
দুটি পরিবারের বিবাহের পর তারা যাতে সুস্থ থ্যালাসেমিয়া মুক্ত শিশুর জন্ম দিতে পারে তার জন্য যে পরামর্শ প্রদান করা হয় তাকে জিনগত পরামর্শ বা জেনেটিক কাউন্সেলিং বলে ।
পুর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে , থ্যালাসেমিয়া অটোজোম বাহিত প্রচ্ছন্ন জিনগত রোগ । এক্ষেত্রে পিতা বা মাতা হেটারােজাইগাস প্রকৃতির হলে তার থ্যালাসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না । সে সামান্য রপ্তাল্পতায় ভুগতে পারে ।
কিন্তু পিতা ও মাতা উভয়েই হেটারােজাইগাস অবস্থায় থাকলে পুত্র বা কন্যার থ্যালাসেমিয়া রােগ হতে পারে । 50 % শিশু বাহক প্রকৃতির হয় এবং 25 % সন্তান থ্যালাসেমিয়া রােগগ্রস্ত হয় । এই কারণেই বিবাহের পুর্বে দম্পতির পরিবারের কেউ মেজর থ্যালাসেমিয়া রােগগ্রস্ত না থাকে , সেইজন্য রক্ত পরীক্ষা করা দরকার এবং উভয় পরিবারকে জেনেটিক পরামর্শ দেওয়া দরকার ।
Tags
Political