ঘন ঘন বদলে যাচ্ছে তাঁর টুইটারের বায়ো। কখনও নিজেকে বলছেন BJP যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি আবার কখনও তা মুছে লিখছেন বর্তমান। এখনও দ্বিধান ভুগছেন সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Kha)? ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ফেসবুক লাইভ করে যুব মোর্চার সভাপতি পদ ছাড়ার ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
আবার অমিত শাহের হস্তক্ষেপে নিজের অবস্থান থেকে সরেও এসেছিলেন এই BJP সাংসদ। কিন্তু, শনিবার আচমকাই টুইটারে ফের একবার রৈজনৈতিক ডিগবাজির ইঙ্গিত দিলেন সৌমিত্র। নিজের টুইটার বায়োতে যুব মোর্চার সভাপতির আগে 'প্রাক্তন' লিখে দিলেন। আবার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই সরিয়ে দিলেন 'প্রাক্তন' শব্দটি।
সৌমিত্র খাঁয়ের সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিসক্রিয়তা নিয়ে সম্প্রতি কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছে খোদ দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেই। এমনকী শুভেন্দু অধিকারীও জানিয়েছিলেন সৌমিত্রর এই কীর্তি 'সিরিয়াসলি' নিচ্ছেন না তিনি। ফলে ফের একবার তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় একবার নিজেকে প্রাক্তন আর একবার যুব মোর্চার বর্তমান সভাপতি হিসেবে চিহ্নিতকরণ দল কীভাবে নেয়, সেটাই এখন দেখার।
তাঁর জন্য কী তবে অপেক্ষা করছে কড়া 'শাস্তি'?সৌমিত্র খাঁর এই কাণ্ড এদিন নতুন করে জল্পনার সৃষ্টি করে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তবে কি শেষ পর্যন্ত সভাপতি পদ ছেড়েই দিচ্ছেন তিনি? নাকি স্ত্রী সুজাতার মতো তাঁরও 'দলে থেকে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে'? কেউ কেউ আবার বলছেন তাঁর মুড সুইং হচ্ছে। সব মিলিয়ে বিষ্ণপুরের সাংসদকে ঘিরে ফের রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে।দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীর উপর গোঁসা করে দলের যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ।
শুধু তাই নয় ফেসবুক লাইভে এসে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে নিজের সিদ্ধান্ত বদল করেন তিনি। ফের একবার ফেসবুক পোস্টে জানালেন তিনি যুব মোর্চার সভাপতি পদেই থাকছেন। মাত্র কয়েকঘণ্টার মধ্যে সৌমিত্র খাঁর এই অবস্থান বদল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ কে স্বয়ং এই ইস্তফার বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয় । কেন্দ্রীয় BJP নেতা বিএল সন্তোষ ও যুব নেতা তেজস্বী সূর্যও সৌমিত্র খাঁয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন।ফেসবুক লাইভে সৌমিত্র বলেছিলেন, 'তিনি নিজেকে জাহির করছেন। দলকে জাহির করছেন না। এখন যিনি নেতা হয়েছেন, তাঁর ফোকাস এক জায়গায় চলে গিয়েছে। তিনি দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বোঝাচ্ছেন।
তিনি যেন একাই আত্মত্যাগ করছেন, আমরা যেন করছি না। আমাদের রাজ্য সভাপতিকে বললে তিনি পুরোটা বোঝেন না। বাংলায় BJP যেভাবে চলছে, তাতে কিছু হবে না। নরেন্দ্র মোদী যতদিন থাকবেন BJP-তে থাকব। আমি নি:স্বার্থভাবে লড়াই করছি। বিরোধী দলনেতাকে বলব, আয়নায় মুখ দেখতে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল বোঝাবেন না। এভাবে চললে BJP এগোবে না বাংলায়'।