শ্যামল রং, "মনসুকা খবর" মনসুকা: গত বছরে যে জিনিসটার দাম ১০০-১১০ টাকা ছিল এখন সেটা ১৯৫-২০০ টাকা দাম হয়ে গেছে কিন্তু জিনিসপত্রের দাম এরকম কেন হলো? যারা একেবারে কিছুই জানে না তারাও জানে যে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বাড়লে পরিবহন খরচ বাড়ে আর পরিবহন খরচ বাড়লে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে বাধ্য।
পরিসংখ্যান দিয়ে বলি যে এ বছর জানুয়ারি থেকে ৩১শে জুন মধ্যে সরকার পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বাড়িয়েছে। আসতে আসতে পেট্রোলের দামটা সেঞ্চুরি পার করে ফেলেছে পার লিটার। ডিজেল কিন্তু নব্বইয়ের ঘরে এখনো নট আউট ব্যাটিং করছে।
এর ফলে মূল্যবৃদ্ধির দায় কে নেবে? মধ্যবিত্তের চাপা কষ্টের দায় কে নেবে? দিদির দিকে তাকান তিনি দাদার দিকে আঙুল তুলবে। তেমনভাবে দাদার দিকে তাকান দিদির দিকে আঙুল তুলবে। তারপর দাদা বলবেন আন্তর্জাতিক মার্কেটে তেলের দাম বাড়ছে এইটা নিয়ে মিথ্যা গল্প আমাদেরকে শোনাবে।
মধ্যবিত্ত কষ্টে পড়েছে কষ্টে আছে সে কথা সবাই বেমালুম ভুলেই যান। এভাবে যদি মূল্য বৃদ্ধি হতে থাকে দীর্ঘমেয়াদি ভাবে মুদ্রাস্ফীতি আসবে। আর মুদ্রাস্ফীতি ও দীর্ঘমেয়াদিভাবে চলে মন্দার কবলে পড়বে দেশের নাগরিক। আমাদের দেশে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ তেল ক্রুড অয়েল হিসাবে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
মনমোহন সিং সরকার ডিজেলের দাম এর উপরে নিয়ন্ত্রণ রেখেছিলেন তার কারণ তিনি জানতেন যে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে গন পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত। আর গন পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে কিন্তু দেশের মূল্যবৃদ্ধির প্রোডাক্ট এর মূল্য বৃদ্ধি সম্পর্ক।
মোদি সরকার এসে ডিজেলের দাম তাকেও কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে সঙ্গে যুক্ত করে দেন। আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলের দাম যেমন বাড়বে এবং ডিজেলের দাম যেমন বাড়বে সেই হারে বাড়বে দেশে।
মোদি সরকার এসে ডিজেলের দাম তাকেও কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে সঙ্গে যুক্ত করে দেন। আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলের দাম যেমন বাড়বে এবং ডিজেলের দাম যেমন বাড়বে সেই হারে বাড়বে দেশে।
মজার ব্যাপারটা হল ২০১৪ থেকে ২০২১ এর মধ্যে বহুবার আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে কিন্তু সেই সময় আমাদের দেশের পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কমবে নিয়ম-নীতি তাই বলে। মজার কথা হল বহুবার ২০১৪ থেকে ২০২১ এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মার্কেটে তেলের দাম কমলেও আমাদের দেশের পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বেড়েছে ।
এত সোজা হিসেবে আমাদের দেশে ক্রুড অয়েল টাকে পরিশোধনাগারে পরিশোধন করার পর যে বেস্ট প্রাইস তা দাঁড়ায় ১ লিটার প্রাইস এর দাম মোটামুটি ৩৪ টাকা। পরিবহন খরচ ৮ টাকা। পরিবহনের পর আমাদের কাছে পৌচ্ছায় ৩৮ টাকা। পেট্রোল ৩০ টাকার তেল ৬৩ টাকা ট্যাক্স যোগ করে। ডিস্টিবিটার ও রিটেলার কমিশন মিলে তবে গিয়ে হচ্ছে ১০০ টাকা যেটা আমরা কিনছি। আপনি ভাববেন না যে এটা শুধু কেন্দ্র সরকার ট্রাক্স মোটামুটি ৩৬ টাকা দাদা নেয়। আর দিদি নেয় ২৭ টাকা।
একটা সিক্রেট বলি গতবছর২০২১ এর অর্থবর্ষে পেট্রোল এবং ডিজেলের আমাদের কেন্দ্র সরকার টার্গেট করেছিল লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল আদায় করবে দু'লক্ষ ৬৭ হাজার কোটি টাকা কিন্তু প্রকৃতপক্ষে অর্থ রোজগার করেছে ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার কোটি টাকা ।
একটা সিক্রেট বলি গতবছর২০২১ এর অর্থবর্ষে পেট্রোল এবং ডিজেলের আমাদের কেন্দ্র সরকার টার্গেট করেছিল লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল আদায় করবে দু'লক্ষ ৬৭ হাজার কোটি টাকা কিন্তু প্রকৃতপক্ষে অর্থ রোজগার করেছে ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার কোটি টাকা ।
এক লক্ষ কোটি টাকা রোজগার পেট্রোল-ডিজেলের টেক্স থেকে। শুধু কিন্তু এটা এক্সট্রা আয় করেছে। রাজ্যের পরিসংখ্যানও দিতে পারলাম না কিন্তু রাজ্য কিন্তু একই পরিমানে ( অনুপাতে ) এক্সট্রা উদ্ধার করেছে পেট্রোল এবং ডিজেলের ট্যাক্স থেকে। এই একটি ইশুতে কেন্দ্র রাজ্য ভাই ভাই।
আজ পেট্রোল ডিজেলের দাম দিল্লি- পেট্রোল ১০২.৯৪ টাকা, ডিজেল ৯১.৪২ টাকা মুম্বই- পেট্রোল ১০৮.৯৬ টাকা, ডিজেল ৯৯.১৭ টাকা চেন্নাই- পেট্রোল ১০০.৪৯ টাকা, ডিজেল ৯৫.৯৩ টাকা কলকাতা- পেট্রোল ১০৩.৬৫ টাকা, ডিজেল৯৪.৫৩ টাকা।
ডিজেলের পেট্রোলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে গন পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত। আর গন পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে কিন্তু দেশের মূল্যবৃদ্ধির প্রোডাক্ট এর মূল্য বৃদ্ধি সম্পর্ক। এই পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্তদের সাহায্য করছে সরকার আর উচ্চবিত্ত সহজেই পার করে ফেলেছেন। মূল্য বৃদ্ধির জন্য মধ্যবিত্তের সঙ্কট অবস্থা । দ্বায় কে নেবে?
Tags
West Bengal