ডঃ বি আর আম্বেদকর এর জন্ম তিথি পালন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে সেবা সপ্তাহে পালনের জন্য স্বচ্ছ ভারত অভিযান পালন করছেন ঘাটালের বিধায়ক শীতল কপাট মহাশয়। তিনি ঘাটালের বিভিন্ন হসপিটাল এবং উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে স্বচ্ছ ভারত অভিযান চালাচ্ছেন। তাঁর সাথে রয়েছেন বিভিন্ন সহযোগী নেতা নেত্রী বৃন্দ। তিনি ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল এবং বীরসিংহ হসপিটাল সহ খাসবার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ভারত অভিযান সম্পন্ন করলেন। ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল বিভিন্ন হসপিটাল ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলিতে নিজের হাতে ঝাড়ু নিয়ে সাফাই করেছেন।
এই স্বচ্ছ ভারত অভিযান কি?
স্বচ্ছ ভারত অভিযান সম্পর্কে আমরা আগে থেকেই অনেকেই অবগত রয়েছি। তবুও এখনো মানুষের মধ্যে স্বচ্ছ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার জীবনশৈলী এখনো গড়ে ওঠেনি। যাতে করে পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা যায় সেইজন্য এই স্বচ্ছ ভারত অভিযান এর সূচনা। এই স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মধ্য দিয়ে ভারতের রাস্তাঘাট পরিবেশ বাড়ির আনাচ কানাচ সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। এই অভ্যাসটা ভারতীয়দের মধ্যে অঙ্গীভূত হয় তাই এই স্বচ্ছ ভারত অভিযান এর সূচনা হয়েছিল।
কেন বিধায়ক মহাশয় রাস্তাঘাট হসপিটাল বিভিন্ন স্থানে ঝাড়ু মারছেন?
আমরা হসপিটালের ডাক্তার নার্সদেরকেউ দেখলাম বিধায়ক মহাশয় এর সঙ্গে ঝাড়ু দিচ্ছেন হাসপাতাল চত্বর। সাধারণ মানুষের চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো যাতে করে তাঁরা, তাঁদের নিজের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে পারেন। যদি হসপিটালের ডাক্তার, নার্স, বিধায়ক মহাশয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় হাত লাগাতে পারেন তাহলে কেন সাধারণ মানুষ নিজের নিজের ঘরবাড়ি পাশাপাশি আনাচ-কানাচ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারবেন না? চোখে আঙ্গুল দিয়ে উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিরা সাধারণ মানুষকে দেখিয়ে দিতে চাইছেন যাতে করে নিজেই নিজের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে পারেন।
কিভাবে স্বচ্ছ ভারত অভিযান কে সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে?
ভারতবর্ষের মতো একটি দেশে স্বচ্ছ ভারত অভিযান কে সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করতে গেলে। স্কুলের শিক্ষার সাথে জীবনশৈলী শেখার পাঠ সংযোজন করতে হবে। তাতেও সংযোজন করতে হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার পাঠ। এ যেন শুধু পাঠ না হয়ে থাকে, হাতে কলমে শিক্ষা এবং বাস্তব প্রয়োগ এর উপর জোর দিতে হবে। শিশুমনের রন্ধে রন্ধে পরিষ্কার পরিছন্নতা প্রবেশ করলেই এই স্বচ্ছ ভারত অভিযান একদিন সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হবে। আমরা যদি জাপানের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে তাকিয়ে দেখি তাহলে দেখব অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত তাদের হাতে নাতে জীবন শৈলী শেখানো হয়।