মনসুকা চড়কতায় গত বন্যায় যে বাড়িটি নদীগর্ভে চলে গিয়েছিল এবং নদীগর্ভে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল সেই দোতলা বাড়িটি আজ ভোর পাঁচটা নাগাদ হুড়োহুড়িয়ে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। গত বছর বন্যায় জলের ব্যাপক তোড়ে এই বাড়িটি হেলে পড়েছিল। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে এই নিউজ দেখানো হয়েছিল।
এই বছর পর পর দুই বার ঝুমি নদীর জল বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথম বার বাড়িটিতে ফাটল দেখা দিয়েছিল এবং এইবার সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়ল। স্থানীয় মানুষের এমনটাই ভয় ছিল যে নৌকা চলা কালীন নৌকায় পড়লে মারাত্মক ক্ষতি হবে। বাড়িটি নদীগর্ভে ভেঙে পড়ার সময় নৌকা বিপরীত ঘাটে ছিল। খেয়া ঘাটের নৌকার চালক বাদল রায় বলেল আজ ভোর পৌনে পাঁচটায় বাড়িটি ভেঙে পড়ে। বার বার বলেও হেলে যাওয়া বাড়িটি কেউ ভেঙে দেয়নি। এখন নদীর বন্যার জন্য ভেঙে যাওয়া খুব ভালো হয়েছে। নৌকা পারাপার যাত্রীরা ভয় মুক্ত হয়েছে। কারন বাড়িটি যে কোন মুহুর্তে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
ওই দোতলা বাড়িটিতে দোকানের গোডাউন থাকায় বন্যার সময় সেই গোডাউন থেকে সমস্ত দোকানের দ্রব্য সরানো সম্ভব হয়নি। এখন সেই বাড়িটি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়ার পর সেই দ্রব্য গুলি ভাঙা বাড়ির মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে তা সকল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নষ্ট হয়ে যাওয়া দ্রব্য গুলির মধ্যে প্যাড, বিস্কিট, গ্লুকন্ডি, বাসন মাজা সাবান, প্লাস্টিক বালতি সহ আরো অনেক কিছু।
স্থানীয়রা জানান খুব শীঘ্রই পাইলেন না করলে পরবর্তী সময়ে পরপর দোকান গুলি এই ভাবে নদীগর্ভে চলে যাবে।