প্রতি বছর ১লা অক্টোবর সারা দেশের প্রতিটি রাজ্যে জাতীয় স্বেচ্ছা রক্তদান দিবস হিসেবে পালন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে। ২০০৪ সালে জাতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই দিনটিকে জাতীয় স্বেচ্ছা রক্তদান দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর থেকে প্রতি বছর এই দিবসটি উদযাপন হয়ে আসছে। তবে প্রতি বছর, ১৪ই জুন, বিশ্ব রক্তদাতা দিবস বা World Blood Donor Day (WBDD) পালন করে সারা বিশ্ব। বিশ্বজুড়ে রক্তদান এখন এক আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। শুধু রক্তগ্রহীতার উপকার নয় রক্তদাতারও বিশেষ কিছু সুবিধাও রয়েছে এই রক্তদানের মাধ্যমে।
রক্তদান করলে কি সুবিধা পাওয়া যায়?
১. নতুন লাল রক্ত কণিকার বিকাশ হয়
রক্তদানের প্রথম ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রক্তদাতার দেহ লোহিত রক্তকণিকা পুনরায় গঠন হতে শুরু করে। নতুন করে দেহে রক্তকণিকা তৈরি হলে তা মানুষকে স্বাস্থ্যবান এবং কর্মক্ষম থাকতে সহায়তা করে।
২. হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়
বেশ কয়েকটি গবেষণা এবং প্রতিবেদন অনুসারে, রক্তে যখন আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় তখন তা হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। রক্তে লোহার স্তর হ্রাস করার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে রক্ত দান করা উচিত।
৩. ক্যালোরি বার্ন হয়
রক্ত দান করলে প্রতি ৪৫০ মিলি রক্তে প্রায় ৬৫০ ক্যালোরি পুড়তে পারে।
৪. নিখরচায় রক্ত পরীক্ষা
রক্তদানের ক্ষেত্রে, রক্তদাতার নিখরচায় মিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং রক্ত পরীক্ষা হয়ে যায়।
৫. কেউ কত কম ব্যবধানে রক্ত দান করতে পারেন?
দু'টি রক্তদানের মধ্যে সর্বনিম্ন বিরতি থাকতে হবে ৩ মাসের। এই ব্যবধান রক্তে সাধারণ হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ফিরে আসতে সহায়তা করে।
কারা রক্ত দান করতে পারেন?
- রক্তদাতার বয়স ১৮ বছরের বেশি এবং ৬০ বছরের কম হতে হবে।
- রক্তদাতার হিমোগ্লোবিন কাউন্ট অবশ্যই ১২.৫ গ্রাম/ডিএল এর চেয়ে কম হলে হবে না।
- ওজন ৪৫ কেজির কম হওয়া উচিত নয়।
- রক্তদানের সময় শরীরের সাধারণ তাপমাত্রা থাকা উচিত।
- রক্তদানের আগে সবসময়ই প্রচুর জল খাওয়া উচিত। এছাড়াও, মনে রাখবেন যে রক্ত দেওয়ার আগে এবং পরে সুষম খাবার খাওয়া উচিত। এই খাদ্য আপনাকে স্বাস্থ্যকর এবং ফিট রাখবে।
প্রতিবছরের ন্যায় মনসুকা অরুণোদয় সংঘের পরিচালনায় দুর্গাপূজার মহাষষ্ঠীতে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়। এবার এই মহাষষ্ঠী দিনটি পড়েছে ১লা অক্টোবর জাতীয় স্বেচ্ছা রক্তদান দিবস এর দিন। এইবার এই রক্ত দান শিবিরে রক্ত দিয়েছেন ৫৬ জন।