কলকাতা, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪: ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগে কৃষকরা আবারও আন্দোলন জোরদার করেছে। এই আন্দোলন বিজেপির জন্য কতটা চ্যালেঞ্জ হতে পারে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোচনা চলছে।
আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য:
নতুন সংগঠনের নেতৃত্ব: 2020 সালের আন্দোলনে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলির
অনেকগুলি এবার আন্দোলনে নেই। বরং, 50 টিরও বেশি নতুন সংগঠন নেতৃত্ব দিচ্ছে।
পাঞ্জাব-কেন্দ্রিক: বর্তমান আন্দোলন মূলত পাঞ্জাবের কৃষকদের উপর নির্ভরশীল, যদিও সকল পাঞ্জাবি সংগঠনও এতে অংশগ্রহণ করছে না।
রাজনৈতিক সমর্থন: বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি আন্দোলনকে সমর্থন দিচ্ছে।
সরকারের অভিযোগ: কেন্দ্রীয় সরকার কংগ্রেসকে আন্দোলনে ইন্ধন
দেওয়ার অভিযোগ করছে।
আন্দোলনের প্রভাব:
শিরোমণি আকালি দল-বিজেপি জোট: আন্দোলনের কারণে এই জোটের সম্ভাবনা কমে গেছে।
পাঞ্জাবে বিজেপির প্রভাব: পাঞ্জাবে বিজেপির তেমন প্রভাব নেই এবং
বর্তমান আন্দোলন তা আরও কমিয়ে দিতে পারে।
অন্যান্য রাজ্যে প্রভাব: হরিয়ানা বা উত্তর ভারতের অন্য রাজ্যগুলিতে
আন্দোলনের তেমন প্রভাব নেই।
লোকসভা নির্বাচন: কৃষকরা নির্বাচনের আগে সরকারের উপর চাপ
সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে,
তবে বিজেপি
আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে।
অন্যান্য দিক:
এমএসপি: কৃষকরা ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (এমএসপি) আইনি
করার দাবি করছেন।
ক্ষতিপূরণ: 2020 সালের আন্দোলনে নিহত কৃষকদের পরিবারের জন্য
ক্ষতিপূরণের দাবি করা হচ্ছে।
পেনশন: 60 বছরের বেশি বয়সী কৃষকদের জন্য 10,000 টাকা পেনশনের দাবি করা হচ্ছে।
কৃষক সংজ্ঞা: কে কৃষক হিসেবে বিবেচিত হবে তা নিয়ে বিতর্ক
রয়েছে।
বর্তমান কৃষক আন্দোলন 2020
সালের আন্দোলনের
চেয়ে ছোট এবং এর প্রভাবও কম। তবে, নির্বাচনের আগে এটি বিজেপির জন্য কিছুটা
চ্যালেঞ্জ হতে পারে।