মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনন্দনবার্তা: বাংলাদেশে উন্নতি ও শান্তির প্রত্যাশা

কলকাতা, ৯ আগস্ট,২০২৪: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের প্রতি তাঁর আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছেন। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে মমতা তাঁর এ শুভেচ্ছা বার্তা ফেসবুকে পোস্ট করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের উন্নতি, শান্তি ও প্রগতির জন্য আমার আন্তরিক শুভকামনা রইলো। বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরের মানুষের কল্যাণের জন্য আমি প্রার্থনা করি।”


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, তাঁর এই শুভেচ্ছাবার্তার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কের আরো উন্নতির আশা করছেন। তিনি বলেন, “আশা করি, তাঁদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো উন্নত হবে।” তাঁর মতে, পারস্পরিক সহযোগিতা ও বোঝাপড়া আরও মজবুত হলে দুই দেশই উপকৃত হবে।

তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভালো থাকলে, আমরাও ভালো থাকবো।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, একটি স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গসহ সমগ্র ভারতের জন্য কল্যাণকর।

বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর শুভকামনা প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক ও মহিলাদের জন্য তাঁর শুভেচ্ছা বার্তায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। “ওখানকার ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক, মহিলা থেকে শুরু করে সকলের প্রতি আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো,” তিনি বলেন।

তিনি বিশ্বাস করেন, এই শ্রেণি-পেশার মানুষরা দেশের মেরুদণ্ড এবং তাদের সমৃদ্ধি ও উন্নতি একটি জাতির ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বার্তায় আরো উল্লেখ করেন, বর্তমানের যেকোনো সঙ্কট অচিরেই কাটিয়ে ওঠার আশা রাখেন তিনি। “আশা করি, খুব শীঘ্রই সংকট কেটে যাবে, শান্তি ফিরে আসবে। শান্তি ফিরে আসুক তোমার-আমার এই ভালোবাসার ভুবনে।”

এই বার্তার মাধ্যমে তিনি দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের গুরুত্ব পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেন এবং সেই সম্পর্ককে আরো মজবুত করার ওপর জোর দেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিকভাবে গভীর সংযোগ রয়েছে। এই দুই ভূখণ্ডের মানুষ দীর্ঘকাল ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব প্রদর্শন করে আসছে। এই সম্পর্কের উন্নতির মধ্য দিয়েই দুই দেশই পারস্পরিক উন্নয়ন লাভ করতে পারে বলে মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বার্তায় শান্তি ও উন্নতির জন্য ঐক্যের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে ঐক্য থাকলে, আমরা সব বাধা অতিক্রম করতে পারবো।” তাঁর মতে, ঐক্যই যে কোন সমাজের ভিত্তি এবং এটাই সঙ্কট মোকাবেলার মূলমন্ত্র।

তিনি আরো বলেন, “আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে, একে অপরের উন্নয়নে সহযোগিতা করলেই, আমরা একসঙ্গে শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে পারি।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যে তার গভীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং বাংলাদেশের প্রতি তার ভালোবাসার প্রকাশ ফুটে উঠেছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাদেশের প্রতি শুভেচ্ছা ও শুভকামনা একটি ইতিবাচক এবং আন্তরিক প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তার এই বার্তা দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক আরও উন্নত করার একটি পদক্ষেপ হতে পারে। এছাড়াও, এই ধরনের বার্তা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং শান্তি ও উন্নয়নের পথে দুই দেশকে একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হতে পারে। 

বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকার এই শুভেচ্ছা বার্তাকে কীভাবে গ্রহণ করবেন, তা ভবিষ্যতই বলে দেবে। তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আন্তরিক প্রচেষ্টা দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের এক নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে বলে আশা করা যায়।



Shyamal Kumar Rong

আমি মনসুকা খবরের সাংবাদিক। খবর, ভিডিও, তথ্য, গল্প পাঠাতে যোগাযোগ করুন। ফোন/হোয়াটসঅ্যাপ ৯৭৭৫৭৩২৫২৫.

নবীনতর পূর্বতন

Mansuka Khabar

Mansuka khabar
Mansuka khabar