নিউজ ডেস্ক, ঘাটাল: ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস সম্প্রতি নবীন মানুয়া ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল পরিদর্শন করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে নিজে হাতে খাবার পরিবেশন করেন তিনি। সেদিনের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, মাছ, ফুলকপির তরকারি এবং সবজি। পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন দাসপুর ২ ব্লকের বিডিও প্রবীর কুমার সিট, প্রধান শিক্ষক ধীরেন্দ্রনাথ ঘোষ, স্কুল সভাপতি শীতলচন্দ্র খাঁড়া সহ অন্যান্য শিক্ষকরা।
বিদ্যালয়ের মিড-ডে মিলের মান এবং পরিবেশ নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সময় কাটান তিনি। মিড-ডে মিল কর্মসূচি যাতে আরও কার্যকরী হয়, সে বিষয়ে শিক্ষক ও কর্মীদের সঙ্গেও তিনি আলোচনা করেন।
আজ তিনি ক্ষীরপাই মিউনিসিপ্যালিটির ২০৬ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সহ একাধিক আইসিডিএস কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। বিগত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা থেকে জানা গিয়েছে, কিছু কেন্দ্রে পরিকাঠামো ভালো হলেও পরিষেবার মান দুর্বল। অন্যদিকে, কিছু কেন্দ্রে পরিকাঠামো উন্নত না হলেও শিশুদের পরিচর্যা ও পঠন-পাঠনে ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ করা গেছে।
২০৬ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। এখানকার পরিকাঠামো যেমন সুশৃঙ্খল, তেমনই শিশুদের পরিচর্যা ও শিক্ষার মানও প্রশংসনীয়। তবে অন্যান্য কিছু কেন্দ্রের পরিষেবার মান বাড়ানোর জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করছেন।
এই ধরনের পরিদর্শনের মূল লক্ষ্য হলো কেন্দ্রগুলির মধ্যে ভারসাম্য আনা এবং পরিষেবার মানোন্নয়ন করা। ভালো পরিষেবা প্রদানকারী কেন্দ্রগুলিকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি যেখানে ত্রুটি রয়েছে, সেখানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।
মহকুমা শাসকের এই উদ্যোগের ফলে বিদ্যালয় ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির পরিষেবা আরও উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ধরনের কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। প্রশাসনের এই নজরদারি শিশুদের শিক্ষার পাশাপাশি পুষ্টির ক্ষেত্রেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।