ঘাটাল, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫: ঘাটাল মহকুমার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে দেওয়াল পত্রিকার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের সৃজনশীলতা ও মেধার প্রদর্শনী ঘটবে এক অনন্য প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। ঘাটাল মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাসের বিশেষ উদ্যোগে আগামী ১৭ই মার্চ, ২০২৫ তারিখে বীরসিংহ বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই প্রতিযোগিতা ফল ঘোষণা হবে। এই দিনটি বীরসিংহ বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবসও বটে। ১৯৪০ সালের এই দিনে মেদিনীপুরের প্রথম বাঙালি জেলা শাসক বিনয় রঞ্জন সেন ও বিশিষ্ট সাংবাদিক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন।
ঘাটাল মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিকে জানান, মহকুমার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেওয়াল পত্রিকার প্রচলন রয়েছে। অনেক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন করে দেওয়াল পত্রিকা উন্মোচন করা হয়েছে। এই পত্রিকাগুলির সজ্জা ও লেখার গুণমান সকলের নজর কেড়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমেও এই পত্রিকাগুলির কথা প্রকাশিত হয়েছে। এই সৃজনশীল উদ্যোগকে আরও উৎসাহিত করতে মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ঘাটাল মহকুমার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের প্রতি আবেদন জানানো হয়েছে, তারা যেন তাদের বিদ্যালয়ের দেওয়াল পত্রিকার একটি ভালো ছবি তুলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করেন এবং বিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করেন। এই ছবিগুলির ভিত্তিতে আগামী ১৭ই মার্চ, ২০২৫ তারিখে বীরসিংহ বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির প্রাঙ্গণে প্রথম তিনটি বিদ্যালয়কে সম্মানিত করা হবে।
যেসব বিদ্যালয়ে দেওয়াল পত্রিকা এখনও তৈরি করা হয়নি, সেসব বিদ্যালয়কে ১৫ই মার্চ, ২০২৫ তারিখের মধ্যে দেওয়াল পত্রিকা উন্মোচন করে তার ছবি পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। এই বিদ্যালয়গুলিকেও প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সকল অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে, তারা যেন এই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলিকে অবহিত করেন।
এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সৃজনশীলতা ও লেখালেখির প্রতি আগ্রহ বাড়ানোই মূল লক্ষ্য। দেওয়াল পত্রিকার মাধ্যমে তারা তাদের মেধা ও চিন্তাভাবনা প্রকাশের সুযোগ পাবে। এছাড়াও, এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখারও একটি প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।
১৭ই মার্চের অনুষ্ঠানে বীরসিংহ বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে নানাবিধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে। এই দিনটি ঘাটাল মহকুমার শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য দিন হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।