ঘাটাল, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫: প্রশাসন যন্ত্রবৎ নয়, তা হৃদয়ের উষ্ণতায় পূর্ণ এক আলোকবর্তিকা। আর ছাত্র কেবল পুঁথিগত বিদ্যার্জনে আবদ্ধ নয়, তার অন্তর জগৎ অনুভূতিতে তরঙ্গায়িত হয়, যা কখনও ক্যানভাসের রঙে, কখনও কলমের আঁচড়ে, আবার কখনও বা কর্মের দৃঢ়তায় মূর্ত হয়ে ওঠে। এই সত্যেরই এক অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করল ঘাটালের ভূমি, যেখানে এক কিশোর শিল্পী তার তুলির স্পর্শে সম্মানীয় মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস মহোদয়ের প্রতি জানাল গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
ইরপালা কৃষ্ণমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র উদ্ভাস নায়েক, যার স্বপ্নিল জগৎ আবর্তিত হয় বর্ণিল রঙ আর তুলির মায়াবী ছোঁয়ায়। সেই স্বপ্নকেই সঙ্গী করে সে এবার ফুটিয়ে তুলেছে ঘাটালের অতি আপনজন, সম্মানীয় মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস মহোদয়ের মুখাবয়ব। উদ্ভাসের ক্যানভাস যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে নিখুঁত রেখা আর রঙের সামঞ্জস্যে। প্রতিটি পোর্টেট যেন সম্মানীয় সুমন বিশ্বাস মহোদয়ের কর্মনিষ্ঠা, মানবিক স্পর্শ এবং অঞ্চলের প্রতি তার গভীর মমত্বকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানিয়েছে।
উদ্ভাসের বাবা উৎপল নায়েক মহাশয়, খাসবার উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন গণিত বিভাগের শিক্ষক। উদ্ভাস নিজের হাতে আঁকা শ্রদ্ধার অর্ঘ্য তুলে দিল সম্মানীয় মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস মহোদয়ের করকমলে। এটি কেবল একটি ছবি নয়, বরং একজন কিশোরের চোখে দেখা তার অভিভাবকতুল্য প্রশাসকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শিল্পের নীরব ভাষায় শ্রদ্ধা নিবেদন। এই ঘটনা শিক্ষা এবং প্রশাসনের মধ্যে এক মেলবন্ধন তৈরি করেছে, যা সমাজের প্রতিটি স্তরে অনুপ্রেরণার সঞ্চার করবে।
সম্মানীয় মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস মহোদয়ও এই অমূল্য উপহার সানন্দে গ্রহণ করেছেন। উদ্ভাসের প্রতিভা এবং তার শিল্পকর্মের প্রতি তিনি অকুণ্ঠ প্রশংসা জানিয়েছেন। তাঁর এই স্বীকৃতি কেবল উদ্ভাসকেই নয়, বরং সমগ্র ঘাটাল মহকুমার শিল্পপ্রেমী তরুণ প্রজন্মকে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করবে। সম্মানীয় সুমন বিশ্বাস মহোদয়ের এই আন্তরিক প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে, তিনি শুধু একজন প্রশাসক নন, তিনি একজন সংবেদনশীল মানুষ যিনি তরুণদের সম্ভাবনাকে মর্যাদা দেন।
উদ্ভাসের এই শিল্পকর্ম শুধু একটি ছবি নয়, এটি একটি প্রজন্মের শ্রদ্ধাঞ্জলি। সম্মানীয় সুমন বিশ্বাস মহোদয়ের প্রশাসনিক দক্ষতা এবং জনগণের প্রতি তার আন্তরিক সেবা যেভাবে ঘাটালের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে, উদ্ভাসের তুলি যেন সেই অনুভূতিকেই ক্যানভাসে অমর করে তুলেছে। এই চিত্রকর্ম ঘাটালের ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে থাকবে, যেখানে একজন ছাত্র তার সৃষ্টির মাধ্যমে একজন প্রশাসককে তার কর্মের স্বীকৃতি ও সম্মান জানাল।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, প্রশাসন এবং জনগণের মধ্যেকার সম্পর্ক কেবল নিয়ম-নীতির বেড়াজালে আবদ্ধ নয়। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং শিল্পকলার মতো মাধ্যম সেই বন্ধনকে আরও দৃঢ় ও মানবিক করে তোলে।