চৈত্র বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ এই তিনমাস প্রচন্ড গরম থাকে এই সময় প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হয়। এই গরমে প্রচুর জল ঘাম হয়ে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে এই গরমে আপনি যেখানেই যান না কেন তেস্টায় গলা শুকিয়ে আসে। অবাক জলপান এর কথা নিশ্চয় আপনাদের মনে আছে। জল তেষ্টা পেলে গরমে কি অবস্থা হয়। আর যখন আপনার প্রচন্ড গলা শুকিয়ে আসছে আর সেই সময় আপনি ব্যাগ থেকে জলের বোতল বের করে জল পান করতে গেলেন দেখলেন প্রচন্ড গরম হয়ে গেছে বোতলের জল। ঠিক সেই সময় আপনার গলায় ঠান্ডা জল পড়ে তাহলে নিশ্চয়ই আপনি ভীষণ খুশি হবেন।
কোন কোন সময় এই জলের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়
গ্রীষ্মের দুপুর আপনি বেরিয়েছেন কোনো মাঠে-ঘাটে বা কোন শহরে গিয়েছেন বা কোন গঞ্জে। হয়তোবা ট্রেনে বা বাসে যাতায়াত করছেন। তখন তো আপনি আপনার হাতে একটা ব্যাগ অবশ্যই রাখবেন। এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমে জল তেষ্টা পেলে আপনি কোথায় জল পাবেন সেই জন্য নিশ্চয়ই আপনার ব্যাগে একটি বোতল রাখবেন অসময়ে খাওয়ার জন্য। কিন্তু জল থাকার সত্বেও আপনি জল খেতে পারছেন না জল এত গরম হয়ে গিয়েছে।
জল গরম হয়ে যায় কেন?
বাড়ি থেকে আপনি যখন বোতল নিয়ে বেরিয়ে ছিলেন সেই জল ঠান্ডা ছিল। কিন্তু বাইরে পরিবেশের তাপমাত্রা এতটাই বেশি যে বোতলে সেই তাপ প্রবেশ করে বোতলের জল কে গরম করে দিয়েছে। যেটা পান করতে আপনার ভীষন অসুবিধা হচ্ছে।
ব্যাগের বোতলের জলটা আপনি কিভাবে ঠান্ডা রাখবেন?
আপনার জলের বোতলটির চার পাশে মোটা করে খবরের কাগজ জড়িয়ে নিন আর সুতা দিয়ে বা সরু স্যালোটেপ দিয়ে বেঁধে নিন । এবার বোতলে জল ভরে নিন । আর বোতলের চারপাশে যে কাগজ জড়িয়ে রেখেছেন তাকে জল দিয়ে ভিজিয়ে নিন । এতেই জল প্রচন্ড ঠান্ডা থাকবে । আর আপনি প্রয়োজন মতো খেতে পারেন । মাঝে মাঝে খবরের কাগজ এ জল ছিটিয়ে দিন। কাগজ জড়ানো বোতলটি অবশ্য একটি পলিথিন এর মধ্যে রাখবেন যাতে বোতলের জল না পরে। তবে পলিথিনের মুখ খুলে রাখতে হবে।
জল ঠান্ডা থাকার পেছনে বিজ্ঞান
বোতলটির চার পাশে ভেজা কাগজ থেকে জল যখন বাষ্পীভূত হবে, তখন বোতল থেকে লীন তাপ গ্রহণ করবে ফলে বোতলের তাপ কমতে থাকবে । আর আপনার খাবার জল গরম পরিবেশেও ঠান্ডা থাকবে। ঠান্ডা জল পান করে আপনি ভীষণ খুশি হবেন।