নওয়াজ শরিফের জন্য গণনা হওয়া ভোটের চেয়ে বেশি ভোট!

লাহোর০৯  ফেব্রুয়ারি,  ২০২৪: পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচন শেষে ভোট গণনার সময় বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তাদের পক্ষে গণনা করা ভোটের সংখ্যা আসলে দেওয়া ভোটের চেয়ে বেশি। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই অভিযোগ তুলেছে। তাদের দাবি, নওয়াজ শরিফের জন্য যেসব আসনে ভোট গণনা করা হয়েছে, সেখানে ভোটারদের আঙুলের ছাপের সংখ্যার চেয়ে বেশি ভোট গণনা করা হয়েছে।


পিটিআই-এর মুখপাত্র ফায়াসাল জাভেদ খান একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "আমাদের কাছে প্রমাণ আছে যে নওয়াজ শরিফের জন্য ভুয়া ভোট গণনা করা হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাব এবং পুনঃভোটের দাবি জানাব।" এদিকে, পিএমএল-এন এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ভোট গণনাও স্বচ্ছভাবে করা হচ্ছে। পিএমএল-এনের মুখপাত্র মারিয়াম নওয়াজ বলেন, "পিটিআই হেরে যাওয়ার ভয়ে হতাশায় ভুগছে। তাই তারা এসব অসার অভিযোগ তুলছে।"

নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) এখনো এই অভিযোগগুলোর তদন্ত শুরু করেনি। তবে তারা বলেছে যে, তারা সকল অভিযোগের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এই বিতর্কের ফলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে। পিটিআই কর্মীরা সারাদেশে বিক্ষোভ प्रदर्शन শুরু করেছে। তারা পুনঃভোটের দাবি জানাচ্ছে। এই বিতর্কের ফলাফল কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এটি পাকিস্তানের গণতন্ত্রের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

বিতর্কের প্রেক্ষাপট:

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচন ৮ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে পিটিআই এবং পিএমএল-এন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। প্রাথমিক ফলাফল অনুসারে, পিটিআই এবং পিএমএল-এন প্রায় সমান সংখ্যক আসন জিতেছে। নওয়াজ শরিফের জন্য ভোট গণনার সময় বিতর্কের সূত্রপাত হয়। পিটিআই দাবি করেছে যে নওয়াজ শরিফের জন্য ভুয়া ভোট গণনা করা হয়েছে। পিএমএল-এন এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে। ইসিপি এখনো এই অভিযোগগুলোর তদন্ত শুরু করেনি।

বিতর্কের সম্ভাব্য ফলাফল:

 এই বিতর্কের ফলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। পিটিআই কর্মীরা সারাদেশে বিক্ষোভ प्रदर्शन শুরু করেছে। তারা পুনঃভোটের দাবি জানাচ্ছে। এই বিতর্কের ফলাফল কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এটি পাকিস্তানের গণতন্ত্রের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।


আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বিতর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচনী প্রক্রিয়া ন্যায়সঙ্গত ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করার জন্য পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল (ইউএনএমওজি) পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যে তারা সকল অভিযোগের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।


এই বিতর্কের সমাধানের জন্য কিছু সম্ভাব্য পদক্ষেপ:


ইসিপি সকল অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। বিতর্কিত আসনগুলোতে পুনঃভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপের মাধ্যমে এই বিতর্কের সমাধানের চেষ্টা করতে পারে। এই বিতর্কের সমাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Shyamal Kumar Rong

আমি মনসুকা খবরের সাংবাদিক। খবর, ভিডিও, তথ্য, গল্প পাঠাতে যোগাযোগ করুন। ফোন/হোয়াটসঅ্যাপ ৯৭৭৫৭৩২৫২৫.

নবীনতর পূর্বতন

Mansuka Khabar

Mansuka khabar
Mansuka khabar