কলকাতা,০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪: বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কল্পতরু' বাজেটে চমকের পর চমক।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার: সাধারণ বিভাগের জন্য 1000 টাকা এবং তফসিলি জাতির জন্য 1200 টাকা করে বৃদ্ধি করা হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।
50 দিনের কাজ: দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্যে চালু হচ্ছে 50 দিনের কাজের প্রকল্প।
রাজ্য পুলিস: মাসিক বেতন বৃদ্ধি।
বর্ধমান: কৃষক সেতুর পাশে নতুন সেতু তৈরি করা হবে।
সিভিক ভলেন্টিয়ার: বেতন বৃদ্ধি এবং অবসর কালে 5 লক্ষ টাকা বরাদ্দ।
সরকারি কর্মী: মে মাসে আরও 4% DA।
মোবাইল ট্যাব: ক্লাস টুয়েলভ এর পরিবর্তে ক্লাস ইলেভেন এ
ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল ট্যাব দেওয়া হবে।
100 দিনের কাজ: কেন্দ্র সরকারের বকেয়া টাকা নিজেদের তহবিল
থেকে দেবে রাজ্য সরকার।
মিড ডে মিল: কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি।
পরিযায়ী শ্রমিক: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
শিক্ষক নিয়োগ: 5 লক্ষ শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে। এছাড়াও, কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, মৎস্যজীবী, তাঁতী, শিল্পীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "এই বাজেট রাজ্যের সকলের জন্য, সকলের উন্নয়নের জন্য।" বিরোধী দল বিজেপি এই বাজেটকে 'ভোট কেন্দ্রিক' বলে সমালোচনা করেছে।
বাজেটের প্রধান দিকগুলি:
জনকল্যাণ: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, 50 দিনের কাজ, স্বাস্থ্যসাথী, মিড ডে মিল, 100 দিনের কাজের বকেয়া টাকা
অর্থনীতি: কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, মৎস্যজীবী, তাঁতী, শিল্পীদের জন্য বরাদ্দ
কর্মী: রাজ্য পুলিস, সিভিক ভলেন্টিয়ার, সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি
শিক্ষা: ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল ট্যাব, 5 লক্ষ শিক্ষক নিয়োগ
বিশ্লেষণ:
মমতার 'কল্পতরু' বাজেটে জনকল্যাণে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, 50 দিনের কাজ, স্বাস্থ্যসাথী, মিড ডে মিল, 100 দিনের কাজের বকেয়া টাকা - এই সকল প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার চেষ্টা করা হয়েছে। অর্থনীতির দিক থেকে কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, মৎস্যজীবী, তাঁতী, শিল্পীদের জন্য বরাদ্দ রাখার মাধ্যমে রাজ্যের অর্থনীতির উন্নয়নের চেষ্টা করা হয়েছে।
কর্মীদের ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিস, সিভিক ভলেন্টিয়ার, সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের
সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে ক্লাস ইলেভেনের
ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল ট্যাব দেওয়া এবং 5 লক্ষ শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার মান
উন্নত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে, বিরোধী দল বিজেপি এই বাজেটকে 'ভোট কেন্দ্রিক' বলে সমালোচনা করেছে। তাদের দাবি, এই বাজেটে দীর্ঘমেয়াদী কোন পরিকল্পনা নেই।
বাজেটের সম্ভাব্য প্রভাব:
জনকল্যাণে বাজেটের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার ফলে রাজ্যের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হতে পারে। অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দ রাখার মাধ্যমে রাজ্যের অর্থনীতির উন্নয়ন হতে পারে। কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির ফলে তাদের সন্তুষ্টি বৃদ্ধি পেতে পারে। শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেটের বরাদ্দ শিক্ষার মান উন্নত করতে পারে।
সীমাবদ্ধতা:
বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বাজেটে দীর্ঘমেয়াদী কোন পরিকল্পনা নেই বলে সমালোচনা করা হচ্ছে। বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন হতে পারে।
মমতার 'কল্পতরু' বাজেট জনকল্যাণে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।
বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব হলেও, বাজেটের কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে।