মনসুকা, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪: আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বনহরিসিংহপুর (বারোমতিতলা) মনসুকা, ঘাটাল, পশ্চিম মেদিনীপুরে বারোমতির মেলা। এই মেলা সরস্বতী পূজার দিন শুরু হয় এবং দশ দিন ধরে চলে।
মেলার আয়োজন:
মেলার আয়োজনে রয়েছে বনহরিসিংহপুর দ্বাদশ মূর্ত্তি মহোৎসব কমিটি। সহযোগিতা করছে বনহরিসিংহপুর নিউ তরুন সংঘ। মেলার ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন বনহরিসিংহপুর তুলসীরামপুর গ্রামবাসী ও উৎসাহী পার্শ্ববর্তী গ্রামবাসীবৃন্দ।
মেলার বিশেষ আকর্ষণ:
মেলার প্রধান আকর্ষণ হল শ্রীশ্রী দ্বাদশ মহাপ্রভু পূজা, ও শ্রীশ্রী দ্বাদশ মনসামাতার পূজা। এছাড়াও, মেলায় বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মেলার দোকানদানীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ধর্মীয় অনুষ্ঠান:
মেলার প্রথম দিনে শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা ও পুষ্পাঞ্জলি এবং দ্বিতীয় দিনে শ্রীশ্রী দ্বাদশ মনসামাতার পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় দিন থেকে শুরু হবে চব্বিশ প্রহর হরিনামের অধিবাস।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান:
প্রথম দিন
- শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা ও পুষ্পাঞ্জলী
- শ্রীশ্রী দ্বাদশ মনসামাতার পূজা
দ্বিতীয় দিন
- শ্রীশ্রী দ্বাদশ মহাপ্রভুর আগমণ
- শ্রীশ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ, কালি, গঙ্গা ও শিবদূর্গা পূজা
- চব্বিশ প্রহর হরিনামের অধিবাস
তৃতীয় দিন
- চব্বিশ প্রহর হরিনামের শুভারম্ভ
- চলতি হরিবাসরে কীর্ত্তনগান
চতুর্থ দিন
- শ্রীশ্রী মহাপুরুষজীউ বাঁশের বাঁশি গান
পঞ্চম দিন
- বসে আঁকো প্রতিযোগিতা
- চলতি হরিবাসরে কীর্ত্তনগান
ষষ্ঠ দিন
- চব্বিশ প্রহর হরিনামের বিরতি
- স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির
- জিলিপি দৌড় প্রতিযোগিতা
- মিউজিক্যাল পাশিং বল প্রতিযোগিতা
- মোমবাতি জ্বালানো প্রতিযোগিতা
- যাত্রানুষ্ঠান -"আমিনার কোলে পুরোহিতের ছেলে"
সপ্তম দিন
- বস্তা দৌড় প্রতিযোগিতা
- কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা
- যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতা
- রূপসী বাংলা বাউল ও মিনি অর্কেষ্ট্রা
অষ্টম দিন
- অঙ্ক দৌড় প্রতিযোগিতা
- চেয়ার দখল প্রতিযোগিতা
- শঙ্খ বজানো প্রতিযোগিতা
- যাত্রানুষ্ঠান -"ভালোবাসা কি আগে বুঝিনি"
নবম দিন
- হাঁড়ি ভাঙ্গা প্রতিযোগিতা
- খোলামঞ্চে ক্যুইজ প্রতিযোগিতা
- পুরস্কার বিতরণী সভা
- জ্যোতি মিউজিক্যাল ড্যান্স ধামাকা
দশম দিন
- চব্বিশ প্রহর হরিনামের উৎযাপন ও নরনারায়ণ সেবা
- পূজা মিউজিক্যাল ড্যান্সট্রুপ
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা:
মেলার বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে
রয়েছে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, জিলিপি দৌড় প্রতিযোগিতা, মিউজিক্যাল পাশিং বল প্রতিযোগিতা, মোমবাতি জ্বালানো প্রতিযোগিতা, বস্তা দৌড় প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতা, অঙ্ক দৌড় প্রতিযোগিতা, চেয়ার দখল প্রতিযোগিতা, শঙ্খ বাজানো প্রতিযোগিতা, হাঁড়ি ভাঙ্গা প্রতিযোগিতা, এবং খোলামঞ্চে ক্যুইজ প্রতিযোগিতা।
মেলার দোকান:
মেলার একটি বড় আকর্ষণ হল মেলার দোকান দানী। এই মেলার দোকানে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র,
খাবার-দাবার এবং
খেলনা পাওয়া যায়।
আশা-প্রত্যাশা:
মেলার আয়োজকরা আশা করছেন এই বছরও মেলাটি সফলভাবে সম্পন্ন হবে। গ্রামবাসীরাও এই মেলার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। এই মেলা গ্রামবাসীদের মধ্যে ঐক্য ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করে।
মেলার সার্বিক প্রভাব:
বারোমতির মেলা স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মেলা গ্রামবাসীদের মধ্যে আনন্দ ও উৎসবের পরিবেশ তৈরি করে।
মেলার অর্থনৈতিক তাৎপর্য:
বারোমতির মেলার অর্থনৈতিক তাৎপর্যও রয়েছে। এই মেলা স্থানীয় অর্থনীতির জন্যও
গুরুত্বপূর্ণ। মেলার সময় স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়।
মেলার সামাজিক তাৎপর্য:
বারোমতির মেলার সামাজিক তাৎপর্যও রয়েছে। এই মেলা গ্রামবাসীদের মধ্যে ঐক্য ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করে। মেলার মাধ্যমে গ্রামবাসীরা একে অপরের সাথে পরিচিত হয় এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
মেলার ভবিষ্যৎ:
মেলার আয়োজকরা মেলার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তারা মেলার প্রচারণা বৃদ্ধি এবং মেলায় আরও বেশি মানুষকে আকর্ষণ করার জন্য কাজ করছেন।
বারোমতির মেলা একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা যা স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে টিকিয়ে
রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মেলা গ্রামবাসীদের মধ্যে আনন্দ ও উৎসবের
পরিবেশ তৈরি করে। এছাড়াও,
এই মেলা
স্থানীয় অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।