ভারতে চালু হল CAA!

নয়া দিল্লি, ১২ মার্চ ২০২৪: দীর্ঘদিনের বিতর্কের পর অবশেষে সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪ সালে ভারত জুড়ে কার্যকর করা হল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।


এই আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিক্রিয়া:

কেন্দ্র সরকার: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই আইন কার্যকর হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, "এই আইন ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার মানুষদের জন্য আশার আলো।"

বিরোধী দল: বিরোধী দলগুলি এই আইনকে "ভেদাভেদমূলক" ও "সাংবিধানিক" বলে আখ্যায়িত করেছে। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, "এই আইন দেশকে বিভক্ত করবে।"

অসম: অসমে এই আইন নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ হচ্ছে। অসমের জনগণ মনে করেন, এই আইন তাদের সংস্কৃতি ও ভাষার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

বিশ্লেষণ:

CAA কার্যকর হওয়ার ফলে ভারতের রাজনীতি ও সমাজে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আইন নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলতে পারে।

আইনের প্রধান দিকগুলো:

এই আইন কেবলমাত্র হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য প্রযোজ্য।

এই আইনের অধীনে আবেদনকারীদের ভারতে কমপক্ষে ছয় বছর বসবাস করতে হবে।

এই আইনের অধীনে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদনকারীদের কোনও ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে না।


CAA কার্যকর হওয়ার ফলে ভারতের রাজনীতি ও সমাজে কী ধরনের পরিবর্তন আসবে তা সময়ই বলে দেবে। এই আইন নিয়ে আদালতে মামলাও হতে পারে।

Shyamal Kumar Rong

আমি মনসুকা খবরের সাংবাদিক। খবর, ভিডিও, তথ্য, গল্প পাঠাতে যোগাযোগ করুন। ফোন/হোয়াটসঅ্যাপ ৯৭৭৫৭৩২৫২৫.

নবীনতর পূর্বতন

বিজ্ঞাপন

Mansuka khabar

বিজ্ঞাপন

Mansuka khabar
Mansuka khabar