মনসুকা, ২৩ সেপ্টেম্বর: ঘাটালের মনসুকা অঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যার পরে বিশুদ্ধ পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে দীর্ঘগ্রাম এলাকায়। এখানকার মানুষ এখনো PHE প্রকল্পের অধীনে পানীয় জলের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। বন্যার পরে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হলেও, পানীয় জলের অভাবে মনসুকা দীর্ঘগ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
দীর্ঘগ্রামের বাসিন্দাদের মতে, বন্যার জল নেমে গেলেও পানীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই পানীয় জলের জন্য দূরের গ্রামে যেতে বাধ্য হচ্ছেন, যা দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “জলনলের দিকে তাকিয়ে দিন কাটছে। কিন্তু এখনও এক ফোঁটাও জল আসছে না। বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সবাই খুব কষ্টে আছি।”
জলের অভাবে গ্রামবাসীরা তাদের প্রয়োজনীয় কাজকর্মও করতে পারছেন না। বন্যার কারণে অনেকের বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এবং জলের সংকট সেই দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। কিছু পরিবার খোলা জায়গায় অস্বাস্থ্যকর পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
অন্যদিকে, মনসুকার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “বাচ্চাদের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জল না পেয়ে খুব কষ্ট হচ্ছে। প্রতিদিন কয়েক মাইল হেঁটে অন্য গ্রামে জল আনতে হচ্ছে। আমরা জানি না কবে এই কষ্ট শেষ হবে।”
বন্যার পরে দ্রুত পানীয় জল সরবরাহ পুনরায় চালু না হওয়ায় গ্রামবাসীরা খুবই হতাশ। তাদের অনেকেই বলছেন, এই সংকট আর বেশি দিন চলতে থাকলে স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। কিছু মানুষ ইতোমধ্যে জল বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এলাকার মানুষ এখন তাকিয়ে আছেন সেই দিনের দিকে, যেদিন তাদের নল থেকে আবারও বিশুদ্ধ পানীয় জল আসবে। ততদিন তারা চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করছেন, প্রতীক্ষায় রয়েছেন একটু বিশুদ্ধ জলের জন্য।