কৌশিক বাবু যায় গেরুয়া জামা গায় বড় বড় নেতারা উঁকি মেরে চায়। খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন আমরা পড়েছি জেনেছি। না না আসলে কৌশিকের প্রত্যাবর্তনের কথা বলতে চলেছি। সিনেমা বা নাটকীয় ঘটনা নয় এক বাস্তব দৃঢ় রাজনৈতিক কঠিন পরিস্থিতি থেকে কৌশিকের প্রত্যাবর্তন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের সুলতানপুর এলাকায় কৌশিক জানা বহুদিন থেকেই বিজেপি দলের সদস্য। কঠিন সময়ে দৃঢ় হস্তে বিজেপির কাজ করে এসেছেন। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে তিনি টিকিট পেলেন না। টিকিট না পেয়ে বিজেপি থেকে বেরিয়ে এসে নির্দল প্রার্থী দিলেন। এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। কৌশিক জানা নির্দল হয়ে সাইকেল চিহ্নে দাঁড়ান। তবে এই ঘটনা আরো জোরদার মোড় নিল ভোটের পর। ভোটে দেখা গেল কৌশিক জানা সকলকে পিছনে ফেলে ভোটে জয়লাভ করলেন।
এদিকে সুলতানপুরে মোট ২১ টি আসনের মধ্যে দশটি আসন পেল তৃণমূল কংগ্রেস এবং আর দশটি পেল বিজেপি এবং একটি নির্দল সাইকেল চিহ্ন। ফলে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ালো। সেই নির্দল প্রার্থী কৌশিক জানা প্রধান গুরুত্ব হয়ে ওঠে। কৌশিক জানা কোন দিকে যাবে সেই নিয়ে জোর চাপানোত্তর চলতে থাকে। শুরু হয়ে যায় প্রার্থী কেনাবেচা নিয়ে গন্ডগোল।
বহু জল্পনা কল্পনা পেরিয়ে কৌশিক জানা বিজেপিকে সমর্থন করে ফলে সুলতান নগর পঞ্চায়েত ভোট গঠন করল বিজেপি। আর সেই অঞ্চলের প্রধান হলেন সেই নির্দল প্রার্থী কৌশিক জানা। টিকিট না পাওয়া থেকে অঞ্চলের প্রধান হওয়া সময়টা মোটেও সহজ ছিল না। রাজনৈতিক মঞ্চে কঠিন বাস্তব পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে প্রত্যাবর্তন করলেন কৌশিক জানা তবে সাধারণ পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে নয় একেবারে পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে।