হাওড়া, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর হুগলির তীরে ঝলমলে নতুন রূপে উন্মোচিত হল হাওড়া মেট্রো স্টেশন। হাওড়া জংশনের নতুন ও পুরাতন কমপ্লেক্সের মাঝে অবস্থিত এই স্টেশনটি ভারতের গভীরতম মেট্রো স্টেশন হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে।
ভূগর্ভে রহস্য:
মাটি থেকে ৩৩ মিটার নীচে নির্মিত এই স্টেশনে প্রবেশের জন্য একাধিক পথ রয়েছে। ঝলমলে টাইলস, আধুনিক আলোকসজ্জা, এবং প্রশস্ত প্ল্যাটফর্ম স্টেশনটিকে করে তুলেছে এক অনন্য আকর্ষণ।
যাত্রীদের সুবিধার্থে:
স্টেশনে যাত্রীদের সুবিধার্থে স্থাপন করা হয়েছে ৫২ টি সিঁড়ি, ২৬ টি এসকেলেটর এবং ৭ টি লিফট। স্টেশনের ভেতরেই থাকছে এটিএম, টিকিট কাউন্টার, এবং বিভিন্ন দোকান।
গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো:
হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত চলাচলকারী এই মেট্রো লাইন ভারতের প্রথম মেট্রো লাইন যা গঙ্গার তলা দিয়ে চলাচল করবে।
প্রকল্পের ইতিহাস:
১৯৮৪ সালে কলকাতায় প্রথম মেট্রো চালু হলেও হাওড়া মেট্রো লাইনের কাজ শুরু হয় ২০০৯ সালে। বারবার বাধা, খরচ বৃদ্ধি, এবং জটিল প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জের কারণে প্রকল্প সম্পন্ন হতে দেরী হয়।
সম্ভাব্য প্রভাব:
হাওড়া মেট্রো স্টেশন চালু হওয়ার ফলে হাওড়া-কলকাতা যাতায়াত ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। যানজট কমে যাবে এবং যাত্রীরা দ্রুত ও সহজে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।
পরিবেশের উপর প্রভাব:
এই মেট্রো লাইন চালু হওয়ার ফলে যানবাহন থেকে নির্গত দূষণ কমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
অর্থনৈতিক প্রভাব:
হাওড়া মেট্রো লাইনের চালু হওয়ার ফলে হুগলি ও কলকাতার অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সামাজিক প্রভাব:
হাওড়া মেট্রো লাইন চালু হওয়ার ফলে দুই জেলার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। শিক্ষা, চিকিৎসা, এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।